পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৮
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

বিতাড়িত করাই এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য। অন্যায় ও অত্যাচারের প্রতিরোধের জন্য সত্যাগ্রহ করিবার অধিকার কংগ্রেসসেবী মাত্রেরই আছে। সুতরাং এই প্রস্তাবের দ্বারা সর্ব্বপ্রথম কংগ্রেস কর্মীর সেই মূল অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হইল। সর্ব্বাপেক্ষা বৃহত্তম ও প্রধানতম, ‘গণতন্ত্র ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার সুদৃঢ় ভিত্তি’র উপর প্রতিষ্ঠিত, জাতীয় প্রতিষ্ঠান কংগ্রেসের মধ্যে এই অনাচার নিবারণকল্পে চিরবিদ্রোহী সুভাষচন্দ্র মাথা তুলিয়া দাঁড়াইলেন।

 রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ অবিলম্বে কৈফিয়ৎ তলব করিয়া পাঠাইলেন। সুভাষচন্দ্র যে কৈফিয়ৎ দিলেন তাহাতে তিনি সুস্পষ্টভাবে জানাইয়া দিলেন, প্যাটেল প্রস্তাবের বিরোধিতা করিবার ও উহার বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করিবার ন্যায়সঙ্গত অধিকার তাঁহার আছে এবং সেই অধিকার সম্পূর্ণরূপে গণতান্ত্রিক ও কংগ্রেসের গঠনতন্ত্রসিদ্ধ অধিকার (Constitutional and democratic right)। উপসংহারে তিনি কংগ্রেস সভাপতিকে লিখিলেন—“If you decide to resort to disciplinary action, I shall, gladly face it for the sake of what I regard as a just cause. In conclusion, I have to request that if any Congressman is penalised in connection with the events of the 9th July, then you will also take action against me. If the observance of the All India Day of the 9th July is a crime, then I confess, I am the arch-criminal.”

 অবশেষে ওয়ার্কিং কমিটি ওয়ার্দ্ধায় অনেক শলাপরামর্শ করিয়া নিম্নলিখিত হুকুমনামা জারি করিলেন:—

 “কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতেছে যে, মিঃ সুভাষচন্দ্র বসু শৃঙ্খলাভঙ্গের গুরুতর অপরাধে বঙ্গীয় কংগ্রেস কমিটির সভাপতিপদের ও ১৯৩৯ সালের আগষ্ট মাস হইতে তিন বৎসর পর্য্যন্ত