পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
১৯৯

কোন নির্ব্বাচিত কংগ্রেস কমিটির সভ্যশ্রেণীভুক্ত হওয়ার অনুপযুক্ত বলিয়া ঘোষিত হলেন।”

 সুভাষচন্দ্র শান্তভাবে ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত শুনিলেন—তাঁহার উপর কংগ্রেসী বড় কর্ত্তাদের মনোভাব কাহারও অবিদিত নাই। সিদ্ধান্ত শুনিয়া তিনি কেবল বলিলেন—“Is that all?” ইহা অপেক্ষা গুরুতর শান্তির জন্য যেন তিনি পূর্ব হইতে প্রস্তুত হইয়াই ছিলেন! কিন্তু এই প্রস্তাবের দেশব্যাপী প্রতিক্রিয়া বড় গুরুতর হইয়া দেখা দিল। সর্ব্বত্র অসন্তোষ ও বিক্ষোভ ঘনাইয়া উঠিল। ২৫শে আগষ্ট বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভায় এই বিষয়ে যে প্রস্তাব গৃহীত হয় তাহার কিয়দংশ নিম্নে উদ্ধৃত হইল।

 “কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে নির্ব্বাচিত সভাপতিকে বিধিবিরুদ্ধভাবে, জবরদস্তিপূর্বক ও সম্পূর্ণ যুক্তিহীনতার সহিত পদচ্যুত করিয়া যে প্রস্তাব গ্রহণ করিয়াছেন, এই সভা তাহার তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করিতেছে।”

 “এই সভা শ্রীযুক্ত বসুর প্রতি পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করিয়া দৃঢ়তার সহিত এই মত ব্যক্ত করিতেছে যে, এই প্রদেশে কংগ্রেসের কার্য্যকলাপ সাফল্যের সহিত সুনির্ব্বাহ করিতে হইলে তাঁহার নেতৃত্ব অপরিহার্য।”

 উক্ত প্রস্তাবে ইহাও উল্লেখ করা হয় যে, “যেহেতু বিদায়ী সভাপতির (সুভাষচন্দ্রবসুর) পদত্যাগ নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি কর্ত্তৃক গৃহীত হইবার পূর্বেই নূতন সভাপতি (ডাঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদকে) মনোনয়ন দ্বারা নিয়মতন্ত্রবিরুদ্ধ কাজ করা হইয়াছে, যেহেতু বর্ত্তমান ওয়ার্কিং কমিটি অধিক সংখ্যক প্রতিনিধির সমর্থন পাইবে কিনা সে বিষয়ে সন্দিহান হইয়া নূতন সভাপতিকে সমগ্র প্রতিনিধিমণ্ডলীকর্ত্তৃক যথারীতি নির্ব্বাচিত হইবার সুযোগ দেন নাই এবং যেহেতু তৎকালীন সভানেত্রী শ্রীযুক্তা সরোজিনী নাইডু প্রারম্ভেই ঘোষণা করেন যে তিনি গঠনতন্ত্রবিরোধী