পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
২০৩

পণ্ডিতজীর এই রূপান্তর (metamorphosis) তৎকালে দেশবাসীর মনে গভীর বিস্ময় উৎপাদন করিয়াছিল। মহাত্মাগান্ধী হরিজন পত্রে The Congressman নামক প্রবন্ধে বামপন্থী দলগুলির সম্পর্কে মন্তব্য করিলেন—“I am afraid that these groups contain in themselves the seeds of the decay of the Congress.” (এই দলগুলির মধ্যে কংগ্রেস ধ্বংসের বীজ বর্ত্তমান)।

 এদিকে ইউরোপীয় মহাযুদ্ধ দাবানলের মত চতুর্দ্দিকে ছড়াইয়া পড়িতেছে। বল্কান রাজ্যগুলি একে একে জার্মানীর পদানত হইয়া পরাধীনতার নিগড় পায়ে পড়িতেছে। ভারতীয় জাতীয় মহাসভা কিন্তু ইয়োরোপের এই সংকটকালে বামপন্থীদলগুলিকেই তাহাদের প্রধান শত্রু বলিয়া জানিলেন ও বর্দ্ধিত উৎসাহে বামপন্থীদলনে লাগিয়া গেলেন। ২৫শে নভেম্বরের ফরওয়ার্ড ব্লক পত্রে “Whom They Fight?” শিরোনামায় এক সম্পাদকীয় প্রবন্ধে সুভাষচন্দ্র লিখিলেন, “for the Rightists, British Imperialism is a lesser enemy than Indian leftism. You can compromise with the former, bnt in the case of the latter, war to the bitter end. And perhaps if British Imperialism strikes at Indian Leftism, our Rightist friends will have no cause for regret.”

 ১৯৩৮ সালে কংগ্রেস সভাপতিরূপে সুভাষচন্দ্র আবেগময়ী ভাষায় বলিয়াছিলেন, ইয়োরোপে অর্থ নৈতিক রেষারেষির ফলে ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বণ্টন বৈষম্যের ফলে যে অবস্থার সৃষ্টি হইয়াছে তাহাতে জোর করিয়া বলা যাইতে পারে যে, আগামী ছয়মাসের মধ্যে ইয়োরোপে সাম্রাজ্য বাদী লড়াইয়ের পৈশাচিক তাণ্ডব-নৃত্য সুরু হইবে; সুতরাং, এই যুদ্ধের পূর্ণ সুযোগ আমাদের গ্রহণ করিতে হইবে। তাই তিনি বৃটিশ গভর্ণমেণ্টকে ছয়মাসের সময় দিয়া চরমপত্র দিবার প্রস্তাব করেন, কিন্তু কংগ্রেস