পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

তখন ত এই সংগ্রামশীল নীতি গ্রহণ করেনই নাই, এমন কি বৃটেন যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার এক মাসের মধ্যে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটিতে অক্টোবর মাসে যুদ্ধ সম্পর্কিত যে প্রস্তাব গৃহীত হয় তাহাতে বলা হইল —“The A. I. C. C. however does not wish to take any decision precipitately and without giving opportunity for the war and peace aims of the British Government to be clarified with particular reference to India.” কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দলের নেতা শ্রীজয়প্রকাশ নারায়ণ ‘India cannot accept any settlement of freedom issue which pledges in advance her support in the war.’—এই মর্ম্মে যে সংশোধন প্রস্তাব আনয়ন করেন তাহাও অগ্রাহ্য হয়। বৃটিশগভর্ণমেণ্ট ভারতীয় জনগণের সম্মতি ব্যক্তিরেকেই ভারতকে যুদ্ধলিপ্ত দেশ বলিয়া ঘোষণা করিয়াছেন। তথাপি কংগ্রেস কোন স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছিতে কিম্বা কর্ত্তব্য নির্দ্ধারণ করিতে পারিলেন না। কংগ্রেস নেতৃত্বের এই শোচনীয় ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করিয়া সুভাষচন্দ্র বলিয়াছিলেন—“The whole world prepared itself for the crisis but not the Indian National Congress.” অবশেষে যখন দেখা গেল যে ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা দেওয়া ত দূরের কথা ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের নিকট হইতে নির্ভরযোগ্য কোন আশ্বাস বাণীও পাওয়া গেল না— দিল্লীতে ভারতের মহামান্য রাজপ্রতিনিধি ও দেশ নায়কদের দীর্ঘ আলোচনা অক্টোবর মাসে এক ঘোষণার দ্বারা চরম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হইল তখনও কংগ্রেসী মন্ত্রিমণ্ডলীর পদত্যাগ ভিন্ন অপর কোন পন্থাই কংগ্রেস কর্ত্তৃপক্ষ ভাবিয়া পাইলেন না। প্রথমে জনসাধারণ এই ভাবিয়া আশান্বিত হইয়াছিল যে, মন্ত্রিমণ্ডলীর পদত্যাগের পরে কংগ্রেস নিশ্চয়ই কোন সক্রিয় ও সংগ্রামমূলক কর্ম্মপন্থা গ্রহণ করিবেন; কিন্তু, গান্ধিজীর উক্তি শীঘ্রই সব আশা