পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

indirectly, be party to the war, which means continuance and perpetuation of this exploitation. The Congress, therefore, strongly disapproves of Indian troops being made to fight for Great Britain and of the drain from India of men and material for the purpose of the war. Neither the recruiting nor the money raised in India can be considered voluntary contributions from India. Congressmen, and those under the Congress influence, cannot help in the prosecution of the war with men, money or material.”

 এই প্রস্তাবে ভবিষ্যতের জন্য কোন সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপন্থার নির্দেশ না থাকিলে ও বৃটিশ গভর্ণমেণ্টের যুদ্ধ-প্রচেষ্টার প্রতি ভারতবাসীর তীব্র অসন্তোষ ও অনাস্থা বলিষ্ঠ ভাষায় ব্যক্ত হইয়াছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের এই পরিবর্ত্তিত মনোভাবের জন্য ফরওয়ার্ড ব্লক অবশ্যই কৃতিত্ব দাবী করিতে পারে।

 ১৯৪০ সালে সুভাষচন্দ্র কলিকাতা কর্পোরেশনের অল্ডারম্যান পদে নির্বাচিত হন। রামগড়ে আপোষ-বিরোধী সম্মেলন হইতে ফিরিয়া আসিবার কিছুকাল পরেই সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে ‘হলওয়েল মনুমেণ্ট্’ আন্দোলন আরম্ভ হয়। লালদীঘির কোণে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার নৃশংসতার অলীক কাহিনী বুকে লইয়া অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতিস্তম্ভ দণ্ডায়মাণ। ঐতিহাসিকের গবেষণার ফলে এই কাহিনী সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ইংরেজের গভীর দুরভিসন্ধিপ্রসূত ও স্বকপোল-কল্পিত বলিয়া নিংসন্দেহে প্রমাণিত হইয়াছে। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের নামে এই মিথ্যা কলঙ্কময় স্তম্ভ রাজধানীর বুক হইতে অপসারণের দাবী লইয়া ছাত্রসমাজ ব্যাপকভাবে ধর্মঘট করে। সরকারী প্রতিরোধের মুখে কয়েকদিন