পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৬
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

bargaining, is lacking in him. Whenever he does go in for a bargain, as we shall see in 1931, he gives more than he takes; on the whole, he is no match in diplomacy for an astute British Politician.”

 সুভাষচন্দ্র বিশ্বাস করিতেন, সংগ্রামমূলক কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করিলেই কেবলমাত্র ভারতের ক্রমবর্দ্ধমান সাম্প্রদায়িকতার প্রতিরোধ করা যাইবে। সাইমন কমিশন বয়কট ব্যাপারে হিন্দু-মুসলমান প্রভৃতি সকল সম্প্রদায়ই একমত হইয়াছিল। এই উপলক্ষে ভারতের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের ভিত্তিতে গণ-আন্দোলন আরম্ভ করিবার জন্য সুভাষচন্দ্র গান্ধীজিকে অনুরোধ করিয়াছিলেন। কিন্তু তাঁহার সেই প্রস্তাব গৃহীত হয় নাই। সেই সময়ে নেহ্‌রু রিপোর্ট-কথিত “ডোমিনিয়ন ষ্ট্যাটাস্” প্রস্তাব কংগ্রেস গ্রহণ করুক গান্ধীজি এই ইচ্ছা জ্ঞাপন করেন। সুভাষচন্দ্র এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেন। এই সময়েই সুভাষচন্দ্র গান্ধীজির নীতির বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম খোলাখুলি বিদ্রোহ প্রকাশ করেন। ১৯২৯ সালে লর্ড আর্‌উইন ভারতীয় নেতাদিগকে লইয়া “গোল টেবিল বৈঠক” (Round Table Conference) আহ্বানের ইচ্ছা জ্ঞাপন করেন। গান্ধীজি এই প্রস্তাবে ব্রিটিশের সহিত সহযোগিতা করিবার ইচ্ছা জ্ঞাপন করেন। সুভাষচন্দ্র এক বিবৃতি প্রকাশ করিয়া সহযোগিতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলিয়াছিলেন, ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের ইহা এক নূতন ফাঁদ। পরবর্ত্তীকালে সুভাষচন্দ্রের আশঙ্কাই সত্য বলিয়াই প্রমাণিত হয়। লাহোর কংগ্রেসেও সুভাষচন্দ্র “প্রতিদ্বন্দ্বীগভর্ণমেণ্ট (Parallel Government) স্থাপন করিয়া আন্দোলন শুরু করিবার প্রস্তাব করেন। কিন্তু তাঁহার সেই প্রস্তাবও অগ্রাহ্য় হয়। অবশেষে ১৯৩০ সালে গান্ধীজি লবণ আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করিতে বাধ্য হন। বামপন্থী দলের তীব্র চাপেই