পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৮
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

সক্রিয় কর্মপন্থা গ্রহণ করিবে না। নেতৃবৃন্দের এই শোচনীয় অবস্থা ও দুর্বলতা ব্রিটিশের নিকট গোপন রহিল না। গভর্ণমেণ্টের অত্যাচার ও ও কংগ্রেসের দুর্বলতা এই দুইয়ে মিলিয়া যে দুর্গতির পথে দেশকে ঠেলিয়া দিল সুভাষচন্দ্র তাহা সহ্য করিতে পারিলেন না। তিনি আপোষ বিরোধী আন্দোলন চালাইতে ও গণ-আন্দোলনের জন্য দেশকে প্রস্তুত করিতে লাগিলেন। এই সময়ে স্বাধীনতালাভের সংগ্রামে গান্ধীজি “চরখা”র যে স্থান নির্দেশ করিলেন—চরখার উপর যেরূপ রাজনৈতিক গুরুত্ব আরোপ করিলেন, স্বাধীনতা অর্জ্জনের অস্ত্র হিসাবে “চরখা” বাদের যে ব্যাখ্যা করিলেন, সুভাষচন্দ্র তাহার তীব্র প্রতিবাদ করেন। অবশেষে গান্ধীজি বুঝিতে পারিলেন যে,—“There was no meeting ground between the Indian Nationalists and British Imperialists.” ১৯৪০এর ৮ই এপ্রিল প্যাটেল ঘোষণা করেন—“A fight is inevitable.” অথচ, ১৯৩৮ সালেই সুভাষচন্দ্র এই কথা বলিয়াছিলেন। তথাপি সংগ্রাম আরম্ভ হইল না। ১৯৪০ এর ১লা জুন গান্ধীজি বলিলেন—“we do not seek our independence out of Britan’s ruin. That is not the way of non-violence.”

 উপায়ান্তর না দেখিয়া সুভাষচন্দ্র নিজেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সহিত সংগ্রামে জনগণকে চালনা করিবার নেতৃত্ব ও দায়িত্ব গ্রহণ করিলেন। এক বিন্দু রক্তপাত না করিয়াও স্বাধীনতা লাভের সম্ভাবনা এই সময়ে তিনি উপলব্ধি করিতে পারিয়াছিলেন। সুভাষচন্দ্র বিশ্বাস করিয়াছেন যে আন্তর্জাতিক সংকটের পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করিবার জন্য ভারত যদি ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়া দাঁড়ায় তবে বিনারক্তপাতেই স্বাধীনতা আসিবে।

 নিখিল ভারত ফরোয়ার্ড ব্লক সন্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র বলেন—“If we can develope sufficient unity and