পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
২৫৯

নিকট “আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান” জাপানী অফিসার মেজর ফুজিয়ার বক্তৃতায় বলেন—“আমি আপনাদিগকে ক্যাপ্টেন মোহন সিং’এর হস্তে সমর্পণ করিতেছি। তিনিই আপনাদের সর্বাধিনায়ক (Supreme Commander) হইবেন। আপনারা তাঁহারই আদেশ পালন করিবেন।” ইহার পরে ক্যাপ্টেন মোহন সিং বক্তৃতায় বলেন—“Now is the time for the Indians to fight for their independence. So far India has been lacking an armed force of its own but here is a chance of raising an armed force to fight for India's liberation. The British Government have handed you over to the Japanese. The Japanse are not prepared to keep you as prisoners as they are short of rations. We are forming an Indian National Army which will fight to free India.”

 মোহন সিং কর্ত্তৃক ভারতীয় জাতীয় বাহিনী গঠন করিবার ঘোষণা সকলেই অতিশয় উল্লাসের সহিত সমর্থন করে। কিন্তু ভারতীয় জাতীয় বাহিনী গঠন সমস্যায় একটা বিপদও ছিল। ফারার পার্কে আত্মসমর্পণের ব্যাপার হইতে অনেক উচ্চপদস্থ ভারতীয় অফিসারের এই আশঙ্কা হয় যে, জাপানীরা নিজ উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্যই ভারতীয় সৈন্যদিগকে যন্ত্ররূপে ব্যবহার করিবে। এই কারণে, এই সঙ্কটক্ষণে ভারতীয় সৈন্যদের ইতিকর্ত্তব্য নির্দ্ধারণের জন্য ক্যাপ্টেন মোহন সিং প্রমুখ উচ্চপদস্থ অফিসারগণ মালয় ও ব্রহ্মবাসী ভারতীয়গণের সহিত একটি পরামর্শ-বৈঠকের আয়োজন করেন। ১৯৪২ সালের ৯ই ও ১০ই মার্চ এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে জাপান-প্রবাসী ভারতীয় বিপ্লবী রাসবিহারী বসু উপস্থিত ছিলেন। তাঁহার আহ্বানে টোকিতে ২৮শে হইতে ৩০শে মার্চ (১৯৪২) পর্য্যন্ত এক সম্মেলন হয়। ঐ সম্মেলনের প্রতিনিধিগণ