পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬৬
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

the rising sun of Japan. Its use was discontinued in the 2nd. I. N. A.”

 আর্থিক ব্যাপারেও যাহাতে পরমুখোপক্ষী হইতে না হয় সে দিকে সুভাষচন্দ্রের তীক্ষ্ণদৃষ্টি ছিল। আজাদহিন্দ আন্দোলনের সমুদয় ব্যয়ভার প্রবাসী ভারতীয়েরাই বহন করিত। দরিদ্রতম শ্রমিক হইতে শ্রেষ্ঠতম ধনী সকলেই আজাদহিন্দ আন্দোলনে তাহাদের যথাসর্ব্বস্ব দান করেন। একথা আজ সর্বজনস্বীকৃত যে আজাদহিন্দ আন্দোলনের জন্য কোন বিদেশী গভর্ণমেণ্টের আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করা হয় নাই। ১৯৪৪ সালের ১লা জুলাই শ্রীমতী ম’-লিখিত “বিদ্রোহী তনয়ার ডায়েরী”তে লিখিত হইয়াছে— “আর্থিক কৃচ্ছতাসত্ত্বেও আমরা জাপ সরকার বা অন্যকোন গভর্ণমেণ্টের নিকট হইতে ধার লইতে অস্বীকার করিয়াছি। আমরা জানি আজ যদি কর্জ লই, কাল আমাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে বিপন্ন করিব। কাজেই মিত্রদের নিকট হইতেও ধার গ্রহণ করিনা। আমরা ধার লইতে অসম্মতি জানাইয়াছি। আমাদের অর্থ সংগ্রহের মূলনীতি—ভারতবাসীরা তাহাদের নিজেদের পায়ে দাঁড়াইবে। এই নীতির ফলেই জাপানীদের সহিত ব্যবহারে আমরা অনেক খানি স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিতে পারিয়াছি। ইহা আমাদের জঘন্যতম শত্রু ও কুৎসারটনাকারীদের মুখ বন্ধ করিয়া দিয়াছে। আমাদের সমস্ত কর্মপন্থার মধ্যে এমন একটি বিষয় নাই যাহা লক্ষ্য করিয়া তাহারা বলিতে পারিবে যে আমরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎকে পণ্যদ্রব্যে পরিণত করিয়াছি।”

 আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্ট সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন রাষ্ট্রহিসাবে স্বীকৃত না হওয়া পর্য্যন্ত আজাদহিন্দ ফৌজ যুদ্ধ সুরু করে নাই। একথা বিশেষ করিয়া লক্ষ্য করা প্রয়োজন; কেননা, তাঁবেদার বাহিনী হইলে তাহারা বহুপূর্বেই জাপানীগণ কর্ত্তৃক ব্যবহৃত হইতে পারিত। পররাষ্ট্রনীতিতেও আজাদী গভর্ণমেণ্ট তাহার স্বতন্ত্র বজায় রাখিয়াছিল। বৃটেন ও