পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তেত্রিশ

নেতাজী সুভাষচন্দ্রের চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব।

“দেবতার দীপ্ত হস্তে যে আসিল ভবে
সেই রুদ্রদূতে, বলো, কোন রাজা কবে
পারে শাস্তি দিতে। বন্ধনশৃঙ্খল তার
চরণ বন্দনা করি করে নমস্কার—
কারাগার করে অভ্যর্থনা”

—রবীন্দ্রনাথ 

 “তুমি তো আমাদের মত সোজা মানুষ নও; তুমি দেশের জন্য সমস্ত দিয়াছ; ····তাই তো দেশের রাজপথ তোমার কাছে রুদ্ধ। দুর্গম পাহাড় পর্ব্বত তোমাকে ডিঙাইয়া চলিতে হয়; কোন্ বিস্মৃত অতীতে তোমারই জন্য তো প্রথম শৃঙ্খল রচিত হইয়াছিল। কারাগার শুধু তোমাকে মনে করিয়াই নির্ম্মিত হইয়াছিল—সেই তো তোমার গৌরব! তোমাকে অবহেলা করিবে সাধ্য কার? এই যে অগণিত প্রহরী, এই যে বিপুল সৈন্যভার, সে তো কেবল তোমারই জন্য! দুঃখের দুঃসহ গুরুভার তুমি বহিতে পার বলিয়াই তো ভগবান এত বড় বোঝা তোমারই স্কন্ধে অর্পণ করিয়াছেন! মুক্তিপথের অগ্রদূত! পরাধীন দেশের যে রাজ-বিদ্রোহী! তোমাকে শত কোটি নমস্কার!”

—শরৎচন্দ্র (পথের দাবী) 

 মণ্ডকধর্মী আমরা উটপক্ষীর দৃষ্টিসহায়ে সফলতার গজকাঠি দিয়া মানুষকে বিচার করি। হ্যামলেটের ন্যায় নিস্ক্রিয়তার পঙ্কে নিমজ্জিত হইয়া অসারযুক্তি ও অতিনৈতিকতার বেড়াজালে আমাদের কর্মশক্তি পঙ্গু হইয়াছে। ন্যায়-অন্যায় হিংসা-অহিংসার প্রশ্ন আমাদের দৃষ্টিকে ঘোলাটে