পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র
২১৭

অভিশাপ পরাধীন হইয়া থাকা।” “The individual must die so that the nation may live” “ভারত যাহাতে স্বাধীন হইয়া গৌরব অর্জ্জন করিতে পারে সেজন্য আজ আমাকে মরিতে হইবে।” আজ আমাদিগকে নিজেদের বক্ষরক্তে মৃত্যুর ছাড়-পত্র লিখিয়া দিয়া মুক্তিদেবীর কাছে শপথ করিতে হইবে—“হয় স্বাধীনতা—না হয় মৃত্যু।” এই চূড়ান্ত সংগ্রামে পরাভব নাই, পশ্চাদপসরণ নাই। “জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য” করিয়া দুর্জ্জয় সাহসে ভর করিয়া কেবল সম্মুখপানে অগ্রসর হইতে হইবে। “ভগবান যদি চাহেন, আমরা শহীদের ন্যায় মৃত্যুবরণ করিব। পথ ধরিয়া আমাদের সেনাবাহিনী দিল্লীতে পৌছিবে, শেষ শয্যা গ্রহণ করিবার সময় আমরা একবার সেই পথ চুম্বন করিয়া লইব। দিল্লীর পথ স্বাধীনতার পথ। চলাে দিল্লী।” নেতাজীর উক্তি—“In this struggle there is no going back, and there can be no faltering. We must march onward and forward till victory is achieved.” ঐ দেখিতেছ না, দিল্লীর লাল কেল্লায় স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপ্রদর্শক কারারুদ্ধ সৈনিকেরা মুক্তির আশায় গভীর উৎকণ্ঠাভরে আমাদের জন্য প্রতীক্ষা করিয়া আছে? দিল্লীর বড়লাটপ্রাসাদে আজিও ইংরাজের পতাকা জাতির কলঙ্ক ও অক্ষমতার সাক্ষ্য বহন করিয়া স্পর্ধার সহিত উড্ডীন রহিয়াছে। নেতাজী বলিয়াছেন, “দিল্লীর বড়লাট ভবনের উত্তুঙ্গ শীর্ষে যেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা সগৌরবে উড়িতে থাকিবে এবং যেদিন ভারতের মুক্তিফৌজ প্রাচীন লালকেল্লার অভ্যন্তরে বিজয় উৎসবে মাতিয়া উঠিবে সেইদিনই কেবল এই অভিযানের শেষ হইবে।” “স্বাধীনতাই জীবন। স্বাধীনতার জন্য জীবনদানে অবিনশ্বর গৌরব। যদি স্বাধীন হইতে না পারি হাসিতে হাসিতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিব।” “আমরা পরাধীন দেশে জন্মিয়াছি একথা সত্য, কিন্তু স্বাধীন দেশে মরিব। দেশকে মুক্ত করিয়া মরিব—আসুন আমরা এই প্রতিজ্ঞা করি। আর