পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০৮
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

 বহুকাল পূর্ব্বে একদিন আর এক সভায় আমি বাঙ্গালী সমাজের অনাগত অধিনায়কের উদ্দেশ্যে বাণীদূত পাঠিয়েছিলুম। তার বহু বৎসর পরে আজ আর এক অবকাশে বাংলাদেশের অধিনেতাকে প্রত্যক্ষ বরণ করছি। দেহে মনে তাঁর সঙ্গে কর্ম্মক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারব আমার সে সময় আজ গেছে, শক্তিও অবসন্ন। আজ আমার শেষ কর্ত্তব্যরূপে বাংলাদেশের ইচ্ছাকে কেবল আহ্বান করতে পারি। সেই ইচ্ছা তোমার ইচ্ছাকে পূর্ণশক্তিতে প্রবুদ্ধ করুক, কেবল এই কামনা জানাতে পারি। তারপরে আশীর্ব্বাদ করে বিদায় নেব এই জেনে যে, দেশের দুঃখকে তুমি তোমার আপন দুঃখ করেছ, দেশের সার্থক মুক্তি অগ্রসর হয়ে আসছে তোমার চরম পুরস্কার বহন করে।

 (১৯৩৯ সালের মে মাসে সুভাষচন্দ্র সম্বন্ধে কবিগুরুর এই ভাষণ লিখিত ও মুদ্রিত হয়; কিন্তু উহা তখন প্রচারিত হয় নাই। সম্প্রতি এই রচনাটি দৈনিক আনন্দবাজার ও সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছে)।

[ ২ ]

 [কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ১৯৩৯ সালের ২০ শে মে মংপু হইতে শ্রীযুক্ত অমিয় চক্রবর্ত্তীকে লিখিত এক পত্রে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠান ও আন্দোলন সম্পর্কে তাঁহার সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন। এই পত্রখানি ঐ বৎসর জুলাই মাসে “কংগ্রেস” নাম দিয়া ‘প্রবাসী’তে প্রকাশিত হয়। নিম্নে উহার কিয়দংশ উদ্ধৃত হইল। কংগ্রেস হাইকমাণ্ডের তৎকালীন মনোভাব সম্বন্ধে কবির অভিমত বিশেষ কৌতূহলোদ্দীপক]।

 কংগ্রেস যতদিন আপন পরিণতির আরম্ভ যুগে ছিল, ততদিন ভিতরের দিক থেকে তার আশঙ্কার বিষয় অল্পই ছিল। এখন সে প্রভূত শক্তি ও খ্যাতি সঞ্চয় করেছে, শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে স্বীকার করে নিয়েছে সমস্ত