পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
৩২৩

গণের ধন প্রাণ রক্ষা করিবার জন্য মেজর জেনারেল লোকনাথনের অধিনায়কত্বে ছয় হাজার আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্য রাখিয়া এবং সঙ্ঘের সহ-সভাপতি শ্রীযুক্ত জে, এন, ভাদুড়ীর উপর সঙ্ঘের সকল দায়িত্বভার অর্পণ করিয়া চলিয়া আসা হইয়াছিল। রেঙ্গুন ত্যাগের পূর্ব্বেই স্বাধীন ভারত অস্থায়ী গবর্ণমেণ্টের সকল দেনাপাওনা পরিশোেধ করা হইয়াছিল। আজাদ হিন্দ ফৌজ রেঙ্গুণের সকল কর্ত্তৃত্বভার গ্রহণ করেন। জাপানীদের পশ্চাদপসরণ ও বৃটিশ কর্ত্তৃক পুনরধিকারের সুদীর্ঘ সময়ের মধ্যে রেঙ্গুণে একটিও রাহাজানি বা অন্য কোনরূপ অরাজক বিশৃঙ্খল অবস্থা ঘটে নাই। ইহার সহিত তুলনায় ১৯৪২ সালের কথা ভাবিলে আশ্চর্য হইতে হয়। যখন বৃটিশেরা বার্ম্মা ত্যাগ করিয়া আসে, তখন সমগ্র দেশে অভাবনীয় অরাজকতা, লুঠতরাজ, খুনজখম, দাঙ্গাহাঙ্গামা ঘটিয়াই চলিয়াছিল। সেদিনের কথা মনে করিলে আজিও ভারতীয়গণ আতঙ্কে শিহরিয়া ওঠেন।

 ১৯৪৪ সালের এপ্রিলে আজাদ হিন্দ্ ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, ১৯৪৫এর মে মাস পর্যন্ত এই ব্যাঙ্ক যাবতীয় কাজকর্ম্ম চালাইতেছিল। ১৯শে মে বৃটিশ সামরিক কর্ত্তৃপক্ষ হঠাৎ উহা অধিকার করিয়া বসে। ফিল্ড সিকিউরিটি সার্ভিসের কর্ত্তৃপক্ষ ২৮শে মে হঠাৎ শ্রীযুক্ত ভাদুড়ীকে গ্রেপ্তার করে এবং তখন হইতে আজাদ হিন্দ সঙ্ঘের কার্যকলাপ বন্ধ হইয়া যায়। তখন হইতেই আজাদ হিন্দ সঙ্ঘের কর্মিগণ ও তাঁহাদের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে দলে দলে প্রেপ্তার করা হইতে থাকে।