পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

দায়িত্ব বুঝিয়াছে, কাজের জন্যও প্রস্তুত হইয়াছে। আমাদের কর্ম্মপন্থা আমরা নিজেরা স্থির করিব এবং যাহাতে আমাদের প্রস্তাব উপেক্ষাভরে আবর্জ্জনাপাত্রে নিক্ষিপ্ত না হয়, এজন্য আমরা যথাশক্তি, ঐ কর্ম্মপন্থা অনুসরণ করিয়া কাজ করিব। আপনারা ইহা নিশ্চয়ই জানেন যে বাঙ্‌লাদেশে জাতীয় আন্দোলনের প্রথম সূত্রপাত হইতেই আমরা স্বাধীনতা অর্থে পূর্ণ স্বাধীনতা বুঝিয়াছি। উহার অর্থ আমরা কখনও ঔপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসন বুঝি নাই। আমাদের দেশের শত শত শহিদের আত্মবিসর্জ্জনে, কবির বাণীতে আমরা পূর্ণ স্বাধীনতারই স্বপ্ন দেখিয়াছি। ঔপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসনের কথায় আমাদের দেশবাসীর অন্তঃকরণে বিশেষ করিয়া তরুণদের চিত্তে এতটুকুও উৎসাহের সৃষ্টি হইবে না। আজ তরুণদের কথাই বিশেষ করিয়া ভাবিতে হইবে—ইহারাই দেশের ভবিষ্যৎ।”[১] এই সংশােধন প্রস্তাবের সমর্থনে পণ্ডিত জওহরলাল এক ওজস্বিনী বক্তৃতা করেন। কিন্তু শেষ পর্য্যন্ত সুভাষচন্দ্রের সংশােধন প্রস্তাবটি ১৩৫০-৯৭৩ ভােটে অগ্রাহ্য হইয়া যায়। জাতীয় মহাসভার অধিবেশন শেষ হইবার সঙ্গে সঙ্গে কলিকাতায় “হিন্দুস্থান সেবাদল” সম্মেলন হয়। এই সম্মেলনে সুভাষচন্দ্র মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর অপরিহার্য্য প্রয়ােজনীয়তার উপর বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর সবদেশের ইতিহাসেই স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী

  1. প্রস্তাব উত্থাপন করিয়া কংগ্রেসের প্রকাশ্য অধিবেশনে সুভাষচন্দ্র যে হৃদয়গ্রাহী বক্তৃতা করেন তাহার প্রারম্ভেই তিনি বলেন, “I am sorry that I have to rise to an amendment to a resolution moved by Mahatma Gandhi and which has the support of some, if not many, of our elder leaders. The fact that I rise to-day to move the amendment is a clear indication of a cleavage, the fundamental cleavage between the elder school and the new school of thought in the Congress (পরিশিষ্ট দ্রষ্টব্য)।