পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বার

 সুভাষচন্দ্রের সমগ্র জীবন আলোচনা করিলে বুঝিতে পারা যায়, তিনি যৌবন-শক্তির মূর্ত্ত প্রতীক—অজানার সন্ধানে ‘জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য’ করিয়া বাহির হইয়া পড়া, পুরাতনকে ধ্বংস করিয়া নূতনের প্রতিষ্ঠা করা ও উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্য সমস্ত বাধা-বিঘ্ন চুর্ণ করিবার দুর্জ্জয় সংকল্প লইয়া জীবনপথে অগ্রসর হওয়া—ইহাই যদি যৌবনের ধর্ম হয়, তবে সুভাষচন্দ্রের জীবনে যৌবনের এই রূপ পূর্ণভাবে মূর্ত্ত হইয়াছে নিঃসন্দেহে স্বীকার করিতে হইবে। কর্মক্ষেত্রে ও দেখিতে পাই, তরুণ ও যুব সম্প্রদায়ের সহিত আজীবন ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ স্থাপন করিয়া যুব সম্প্রদায়কে মহৎ আশা ও আকাঙ্ক্ষায় তিনি যেভাবে উদ্বুদ্ধ করিয়াছেন, সমসাময়িক অন্য কোন জননায়কের জীবনে সেইরূপ দৃষ্ট হয় না। ভারতব্যাপী যুবআন্দোলনের সর্ব্বভারতীয় নেতা হিসাবে যদি কাহারও নাম করিতে হয়, তবে সুভাষচন্দ্রের নামই সর্ব্বাগ্রে মনে পড়ে। তরুণ সমাজের এই আদর্শ নেতা সুভাষচন্দ্রের চিন্তাধারা ও পথনির্দেশ ভারতের যুব আন্দোলনের প্রসার ও অগ্রগতির পথে বিশেষ সহায়ক হইবে ও প্রবর্ত্তনা যোগাইবে। তাই ছাত্র ও যুব আন্দোলন সম্পর্কে সুভাষচন্দ্রের বাণী, নির্দেশ ও মতামত আলোচনা করিয়া তরুণের চলারপথ যথোপযুক্তভাবে নির্দ্দিষ্ট করা আজিকার দিনে বিশেষ প্রয়োজন।

 ১৯২৯-৩০ সালে সুভাষচন্দ্র ভারতের বিভিন্ন স্থানে বহু ছাত্র ও যুব সম্মেলনে সভাপতি হইয়া ভারতবর্ষের ছাত্র ও যুব আন্দোলনের সহিত ঘনিষ্টভাবে পরিচিত হন। সে সময় তিনি নিখিল ভারত জাতীয় মহাসমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। দেশের যুব-শক্তি সুভাষচন্দ্রের সঞ্জীবনী বাণীর দুর্বার