পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির মধ্য হইতে নির্ব্বাচিত হইবেন। কিন্তু গণতান্ত্রিক নীতিসম্মত এই দাবীও অগ্রাহ্য হয়। গণতান্ত্রিক নীতির এই অবমাননায় সুভাষচন্দ্র প্রমুখ বামপন্থীদল সভাস্থল পরিত্যাগ করেন এবং গয়া কংগ্রেসের অনুরূপ লাহোর কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একটি স্বতন্ত্র দল গঠন করেন। এই দলের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বলা হইয়াছে, “The new party will without prejudice to the party's objective of complete independence for India, endeavour to the best of its ability to co-operate as far as possible with the other parties in the country in such programmes, policies and activities as the party may accept for the purpose of attaining its objective.”

 ১৯৩০ সালের ৪ঠা জানুয়ারী সুভাষচন্দ্র ব্রাড্‌লে হলে লাহোরের নাগরিকদের এক সভায় বক্তৃতা করেন। লাহোর হইতে প্রত্যাবর্ত্তনের পরে ১৯৩০ সালের ২৩শে জানুয়ারী তারিখে নিখিল ভারত রাজনৈতিক লাঞ্ছিত কর্মী দিবসের শোভাযাত্রা সম্পর্কে রাজদ্রোহের অভিযোগে তিনি ৯ মাস সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

 এই সময় গান্ধীজীর নেতৃত্বে লবণ আইন অমান্য অন্দোলন আরম্ভ হয়। এই আন্দোলনেও অন্যান্য বারের ন্যায় বাঙ্‌লার যুবসম্প্রদায় বিপুল সংখ্যায় দলে দলে আন্দোলনের পুরোভাগে আসিয়া দাঁড়ায়। সুভাষচন্দ্র তখন জেলে। কারারুদ্ধ অবস্থাতেই তিনি কলিকাতার নাগরিক জীবনের সর্ব্বশ্রেষ্ঠ সম্মান কর্পোরেশনের মেয়রপদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৩০ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর তিনি মুক্তিলাভ করেন। মুক্তিলাভের পরেই তিনি নিখিল ভারত ট্রেডইউনিয়ন কংগ্রেসের কলিকাতা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ট্রেডইউনিয়ন কংগ্রেসকে তিনি জাতীয় কংগ্রেসের প্রতি আনুগত্য রক্ষা করিয়া চলিবার উপদেশ দেন। সভাপতির অভিভাষণে তিনি বলেন, “জাতীয় স্বাধীনতা অর্জ্জনই