মনে, তার বিক্রম সেই জানে, বিষামৃতে একত্রে মিলন ৷ ইতি৷ এই কহিল স্থায়ী স্থিতি বিলাস নিৰ্দ্ধার। সাধু সঙ্গে জানি সব এবস্তু বিচার ৷ সাধু সঙ্গ বিনে বস্তু কেহ বুঝিতে নারিবে। বৰ্ত্ত আছে বিবৰ্ত্তেতে কেমৰে সাধিবে ৷ বৰ্ত্তমান কামরূপে জগতে বিহুরে। কামগন্ধ হীন হইলে প্রেমের সঞ্চারে ৷ সত্বৰূপে বৰ্ত্তদেশে করায় বিস্থার। বিবৰ্ত্ত কহিয়ে সত্ব রহে দেশান্তর ৷ দেশান্তরে রহি বস্তু বিলাস করায়। বিলাসের দ্বারায় আসি কাম গন্ধ যায়। অকাম হইয়া রস সৰ্ব্বত্ৰ বেড়ায় । বিলাস রূপে পাক হইয়া উৰ্দ্ধগতি হয়। এহেন সাধন মন কর নিরবধি। অপ্রাকৃত হইবে প্রেম বাণে সাধ যদি ৷ শোণিত শুক্র যারে কহি আনন্দ মদন। রতি রস তেঁহ কাম কাম কহিল কারণ। অতএব প্রাকৃত রূপে তেঁহ সে আছয়। ইহা সাধি অপ্রাকৃত মানুষ পায়! শ্ৰীযুত চণ্ডিদাস ঠাকুর মহাশয়। পন্দেতে বৰ্ণিয়া তেঁহ স্পষ্ট করি গায়। কান মদন যে দুইয়ের পিতা যেহু। তার পিতা যারে কহি সহজ মানুষ সেহ! তথাহি * - পদং। কাম আর মদন দুই প্রকৃতি পুরুষ। তাঙ্কার পিতার পিতা সহজ মানুষ। তাহা দেখি দুর নহে আছয়ে নিকটে । ব্ৰহ্মাণ্ড ভিতরে তেঁহ রহে,চিত্ৰ পটে ৷ সৰ্পের মস্তকে যদি রহে পঞ্চমণি। কীটের স্বভাব তাহে নহে ধ্বনি ৷ গোরোচনা জন্মে দেখা গাভীর ভাণ্ডারে। তাহার যতেক মূল্য সে জানিতে নারে । সুন্দর শরীরে হয় কৈতবের বিন্দু। কৈতবা হইলে হয়। গরলের সিন্ধু! আকৈতবের বৃক্ষ যদি রহে একঠাই। নাড়িলে বৃক্ষের মূল ফল নাহি পায় ৷ নিদ্রার আবেশে দেখি কপাল পানে চেয়ে। চিত্ৰ পটে নৃত্য করে তার নাম মেয়ে ৷ নিশি যোগে সুক সারী যেই কথা কয়। চণ্ডিদাস কহে কিছু বাসুলী কৃপায় ৷ ইতি ॥ আনন্দ মদনের পিতা সহস্র দলেতে। তার পিতা মানুষ বিশুদ্ধ সত্ব যাতে । প্ৰভু কিবা আচরিয়ে স্বপন কহিত। দেখিল হে রাম রায় বংশী মুখ হাত ৷ আনন্দ মদন ঐরী দেখিতে না দিল। লিখে গোঁসাই তেঁই আমি না। কহিল ৷ তথাহি মধ্যের দ্বিতীয়ে! বে। কালে বা স্বপনে, দেখিলে বংশী বদনে, সেই কালে আইল দুই বৈৱী। আনন্দ আর মদন, হরি নিল মোর মন, দেখ্রিতে
