পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थाक्तैन। ७५दर मरौना `ა \ტრl তাহার পর, দানাদিতে প্ৰাচীনাদিগের যেরূপ মনোনিবেশ ছিল, নবীনাদিগের সেরূপ এখা যায় না। প্ৰাচীনগণের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, দানে পরমার্থের কাজ হয়। যে দান করে, সে স্বর্গে যায়। এক্ষণকার যুবতীগণের স্বর্গে বিশ্বাস তত দৃঢ় নহে; তাহাদের পাৱলোকে স্বৰ্গপ্ৰাপ্তিকামনা তত বলবতী নহে। ইংরেজি সভ্যতার ফলে দেশে নানাবিধ সামগ্ৰীৱ প্ৰাচুৰ্য্য হওয়াতে সকলেরই অর্থের প্রয়োজন বাড়িয়াছে, স্ত্রীলোকদিগেরও পাড়িয়াছে ; এজন্য দানে তাদৃশ অনুরাগ আর নাই। তত দান করিলে আর কুলায় না। ঢাকায় যে সকল সুখ কেনা যায়, তাহার সংখ্যা এবং বৈচিত্র্য বাড়িয়াছে ; দানের আধিক্য কৰিলে, এখন অনেক বাঞ্ছনীয় সুখে বঞ্চিত হইতে হয়। সুতরাং স্ত্রীলোকে (এবং পুরুষে ) আর তত দানশালী নহে। হিন্দুদিগের একটি প্রধান ধৰ্ম্ম অতিথিসৎকার। যে গৃহে আসে, তাহাকে অ’ হারাদির দ্বারা পরিতুষ্ট করণ পক্ষে এতদেশীয় লোকের তুল্য কোন জাতি ছিল না। প্ৰাচীনাগণ এই গুণে বিশেষ গুণশালিনী ছিলেন । নবীনাদিগের মধ্যে সে ধৰ্ম্ম একেবারে বিলুপ্ত হইতেছে। গৃহে অতিথি অভ্যাগত আসিলে প্রাচীনারা কৃতাৰ্থ হইতেন, নবীনগণ বিবস্তু হয়েনি। লোককে আহার করান প্ৰাচীনাদিগের প্রধান সুখ ছিল, নবীনগণ ইহাকে ঘোরতর বিপদ মনে করেন। ধৰ্ম্মে যে নবীনগণ প্ৰাচীনাদিগের অপেক্ষা নিকৃষ্ট, তাহার একটি বিশেষ কারণ অসম্পূর্ণ শিক্ষা । লেখা পড়া বা অন্য প্রকারের শিক্ষা তাহারা যাহা কিঞ্চিৎ প্ৰাপ্ত হয়েন, তাহাতেই বুঝিতে পারেন যে, প্ৰাচীন ধৰ্ম্মের শাসন অমূলক। অতএব তাহাতে বিশ্বাস তারাইয়া, ধৰ্ম্মের যে বন্ধন ছিল, তাহা হইতে বিমুক্ত হয়েন। তাহার স্থানে আর নূতন 4ন্ধন কিছুই গ্ৰন্থিবদ্ধ হইতেছে না। আমরা লেখা পড়ার নিন্দা করিতেছি না। ধৰ্ম্ম ভিন্ন বিদ্যার অপেক্ষা মূল্যবান বস্তু যে পৃথিবীতে কিছুই নাই, ইহা আমরা তুলিয়া যাইতেছি। না। তবে বিদ্যার ফল, ইহা সৰ্ব্বত্র ঘটিয়া থাকে যে, তাহাতে চক্ষু ফুটে, মিথ্যাকে মিথ্যা পৃলিয়া বোধ হয়, সত্যকে সত্য বলিয়া জানা যায়। বিদ্যার ফলে লোকে, প্রাচীন ধৰ্ম্মশাস্ত্রঘটিত ধৰ্ম্মের মূলের অলীকত্ব দেখিতে পায় ; প্রাকৃতিক যে সত্য ধৰ্ম্ম, তাহা সত্য বলিয়া |ঠানতে পারে। অতএব বিদ্যায় ধৰ্ম্মের ক্ষতি নাই, বরং বৃদ্ধি আছে। সচরাচর পণ্ডিতে যাদুশ ধৰ্মিষ্ঠ, মূর্থে তাদৃশ পাপিষ্ঠ হয়। কিন্তু অল্প বিদ্যার দোষ এই যে, ধৰ্ম্মের মিথ্যা মূল তদ্বিারা উচ্ছিন্ন হয় ; অথচ সত্য ধৰ্ম্মের প্রাকৃতিক মূল সংস্থাপিত হয় না। সেটুকু কিছু স্বাধক জ্ঞানের ফল। পরোপকার করিতে হইবে, এটি যথার্থ ধৰ্ম্মনীতি বটে। মূৰ্থেও ঈষ্ঠা