পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্ৰবন্ধ مطولا জানে, এবং মুর্থািদগের মধ্যে ধৰ্ম্মে যাহাঁদের মতি আছে, তাহারাও ইহার বশবৰ্ত্ত হয়। তাহার কারণ এই যে, এই নৈতিক আজ্ঞা প্রচলিত ধৰ্ম্মশাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে; মুখের তাহাতে দৈবাজ্ঞা বলিয়া বিশ্বাস আছে। দৈববিধি লঙ্ঘন করিলে ইহলোকে ও পরলোকে ক্ষতিপ্ৰাপ্ত হইতে হইবে বলিয়া মূখ্য সে নীতির বশবৰ্ত্তী ; পণ্ডিতও সে নীতির বশবৰ্ত্ত, কিন্তু তিনি ধৰ্ম্মশাস্ত্রোক্ত বলিয়৷ তদুক্তির অনুসরণ করেন না। তিনি জানেন যে, ধর্মের কতকগুলি প্ৰাকৃতিক নিয়ম আছে, তাহ অবশ্য পালনীয় ; এবং পরোপকারবিধি সেই সকল নিয়মের ফল। অতএব এ স্থলে ধৰ্ম্মের ক্ষতি হইল না। কিন্তু যদি কেহ ঈদৃশ পরিমাণে মাত্র বিদ্যার আলোচনা করে যে, তদ্বিারা প্রাচীন ধৰ্ম্মশাস্ত্রে বিশ্বাস বিনষ্ট হয়, অথচ যত দূর বিদ্যার আলোচনায় প্রাকৃতিক ধৰ্ম্মে বিশ্বাস জন্মে, তত দূর না যায়, তবে তাহার পক্ষে ধৰ্ম্মের কোন মূল থাকে না। লোকনিন্দাভয়ই তাহাদিগের একমাত্র ধৰ্ম্মবন্ধন হইয়া উঠে। সে বন্ধন অতি দুর্বল। আধুনিক অল্পশিক্ষিত যুবক যুবতীগণ কিয়দংশে এই অবস্থাপন্ন ; এজন্য ধৰ্ম্মাংশে তাহারা প্ৰাচীনাদিগের সমকক্ষ নহেন। যাহারা স্ত্রীশিক্ষায় ব্যতিব্যস্ত, র্তাহাদিগের আমরা জিজ্ঞাসা করি যে, আপনার বালিকাদিগের হৃদয় হইতে প্ৰাচীন ধৰ্ম্মবন্ধন বিযুক্ত করিতেছেন, তাহার পরিবর্তে কি সংস্থাপন করিতেছেন ? * उिन् तकभ ଜR ) বঙ্গদর্শনে “নবীন এবং প্রাচীন” কে লিখিল ? যিনি লিখুন, তিনি মনে করিয়াছেন, অবলা স্ত্রীজাতি কিছু কথা কহিবে না, অতএব যাহা ইচ্ছা, তাহ লিখি । জানেন না যে, সম্মার্জনী স্ত্রীলোকেরই আয়ুধ । ভাল, নবীন মহাশয়, আপনার নবীন প্ৰাচীনার গুণ দোষের তুলনা করিয়াছেন, নবীন ও প্রাচীনে কি তুলনা হয় না ? তুলনা করিলে দোষের ভাগ কোন দিকে ভারি হইবে? প্রাচীনের অপেক্ষা নবীনের গুণের মধ্যে দেখি, তোমরা একটু ইংরেজি শিখিয়াছ। কিন্তু ইংরেজি শিখিয়া কাহার কি উপকার করিয়াছ ? ইংরেজি শিখিয়া কেরাণীগিরি S S SMSS SqqSqSqS LSSSMSSSMSSSMSSSSSSS S SL qqqq S S S S S BSBS - ----

  • "নবীন ও প্রাচীন।” এই প্ৰবন্ধ বঙ্গদর্শনে প্ৰকাশিত হইলে পর, স্ত্রীলোকের পক্ষ হইতে যে উত্তর আছে, তাহা নিম্নলিখিত কৃত্রিম পত্র তিনখানিতে লিখিত হইয়াছিল।