পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

砷 র্শনের পত্র-সূচনা २२é তার চরম ফল মঙ্গল বটে, কিন্তু অসাধারণ সমাজপীড়ার পর সে মঙ্গল সিদ্ধ হইতেছে। পদাদিচ্ছেদ করিয়া, যেরূপ রোগীর আরোগ্যসাধন, এ বিপ্লবে সেইরূপ সামাজিক মঙ্গলসাধন। সে ভয়ানক ব্যাপার। সকলেই অবগত আছেন। মিশর দেশে সাধারণের সহিত ধৰ্ম্ম-যাজকদিগের পার্থক্যহেতুক, অকালে সমাজোন্নতি লোপ। প্ৰাচীন ভারতবর্ষে বর্ণগত পার্থক্য। এই বর্ণগত পার্থক্যের কারণ, উচ্চ বর্ণ এবং নীচ বর্ণে যেরূপ গুরুতর ভেদ জন্মিয়াছিল, এরূপ কোন দেশে জন্মে নাই, এবং এত অনিষ্টও কোন দেশে হয় নাই। সে সকল অমঙ্গলের সবিস্তার বর্ণনা এখানে করার আবশ্যকতা নাই। এক্ষণে বর্ণগত পার্থক্যের অনেক লাঘব হইয়াছে। তুর্ভাগ্যক্রমে শিক্ষা এবং সম্পত্তির প্রভেদে অন্য প্রকার বিশেষ পার্থক্য জন্মিতেছে। সেই পার্থক্যের এক বিশেষ কারণ ভাষাভেদ। সুশিক্ষিত বাঙ্গালীদিগের অভিপ্ৰায় সকল সাধারণতঃ বাঙ্গালা ভাষায় প্ৰচারিত না হইলে, সাধারণ বাঙ্গালী তাহাদিগের মৰ্ম্ম বুঝিতে পারে না, তাহাদিগকে চিনিতে পারে না, তাহাদিগের সংস্রবে। আসে না। আর, পাঠক বা শ্রোতাদিগের সহিত সহৃদয়ত, লেখকের বা পাঠকের স্বতঃসিদ্ধ গুণ। লিখিতে গেলে বা কহিতে গেলে, তাহা আপনা হইতে জন্মে। যেখানে লেখক বা বক্তার স্থির জানা থাকে যে, সাধারণ বাঙ্গালী তাহার KDB BD SKSLDBDB BS0 BDS SEDLDS কাজে কাজেই তাহাদিগের সহিত র্তাহার সহৃদয়তার অভাব ঘটিয়া উঠে। যে সকল কারণে সুশিক্ষিত বাঙ্গালীর উক্তি বাঙ্গালা ভাষাতেই হওয়া কৰ্ত্তব্য, তাহা আমরা সবিস্তারে বিবৃত করিলাম। কিন্তু রচনা-কালে সুশিক্ষিত বাঙ্গালীর বাঙ্গালা ভাষা ব্যবহার করার একটি বিশেষ বিস্তু আছে। সুশিক্ষিতে বাঙ্গালা পড়ে না। সুশিক্ষিতে যাহা পড়িবে না, তাহা সুশিক্ষিতে লিখিতে চাহে না । “আপৱিতোষা দ্বিাদুষাং ন সাধু মন্যে প্রয়োগবিজ্ঞানম।” আমরা সকলেই স্বার্থভিলাষী। লেখক মাত্রেই যশের অভিলাষী। যশ:, সুশিক্ষিতের মুখে। অন্যে সদসৎ বিচারক্ষম নহে; তাহদের নিকট যশঃ হইলে, তাহাতে 1চনার পরিশ্রমের সার্থকতা বোধ হয় না। সুশিক্ষিতে না পড়িলে সুশিক্ষিত ব্যক্তি লিখিবে না । এদিকে কোন সুশিক্ষিত বাঙ্গালীকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, “মহাশয়, আপনি বাঙ্গালী-বাঙ্গালা গ্ৰন্থ বা পত্ৰাদিতে আপনি এত হতােদর কেন ?” তিনি উত্তর করেন, "কোন বাঙ্গালা গ্রন্থে বা পত্রে আদর করিব ? পাঠ্য রচনা পাইলে অবশ্য পড়ি।” আমরা s؟