রামধন পোদ * বাঙ্গালার, সাহিত্যারণ্যে একই রোদন শুনিতে পাই—বাঙ্গালীর বাহুতে বল নাই। এই অভিনব অত্যুত্থানকালে বাঙ্গালীর ভগ্ন কণ্ঠে একই অফুট বোল—“হায়! বাঙ্গালীর বাহুতে বল নাই।” বাঙ্গালীর যত দুঃখ, তার একই মূল-বাহুতে বল নাই। যদি অনুসন্ধান করা যায়, বাঙ্গালীর বাহুতে বল নাই কেন ? তাহার একই উত্তর পাইব-বাঙ্গালী খাইতে পায় না-বাঙ্গালায় অন্ন নাই। যেমন এক মার গর্ভে বহু সন্তান হইলে কেহই উদর পূরিয়া স্তন্য পায় না, তেমনি” আমাদের জন্মভূমি বহুসন্তানপ্ৰসবিনী বলিয়া তাহার শরীরোৎপন্ন খাদ্যে সকলের কুলায় না। পৃথিবীর কোন দেশই বুঝি বাঙ্গালার মত প্ৰজাবহুলা নহে। বাঙ্গালার অতিশয় প্ৰজাবৃদ্ধিই বাঙ্গালার প্রজার অবনতির কারণ। প্ৰজাবাহুল্য হইতে অন্নাভাব, অন্নাভাব হইতে অপুষ্টি, শীর্ণশরীরত্ব, জ্বরাদি পীড়া এবং মানসিক দৌর্বল্য। অনেকে বলিবেন-দেখ, দেশে অনেক বড় মানুষের ছেলে আছে—তাহদের আহারের কোন কষ্ট নাই, কিন্তু কই, তাহারা ত অনাহারী চণ্ডাল পোদের অপেক্ষাও দুর্বল-বড় মানুষের ছেলেরাই প্ৰকৃত মৰ্কটাকার। সত্য বটে, কিন্তু এক পুরুষে অন্নাভাবের দোষ খণ্ডে না। যাহারা পুরুষানুক্ৰমে মৰ্কটাকার, দুই এক পুরুষ তাহারা পেট ভরিয়া খাইতে পাইলেই মনুষ্যাকার ধারণ করে না। বিশেষ বড়মানুষের ছেলের কথা ছাড়িয়া দাওDDB DDDD BB DSeDBBDS BDBBBDBDB BKBDB DDD DDD KBD DDSDDiuk আহার জীর্ণ করিতে পারেন না। সকল দেশেই বাবুর দল মৰ্কটসম্প্রদায়বিশেষ। শ্রমজীবী, সাধারণ দরিদ্র লোকের বাহুবলই দেশের বাহুবল । আবার অনেকে রাগ করিয়া বলিবেন, “এ রকম কঠিন হৃদয় মালথসি বুলি রাখিয়া দাও ! ও ছাই আমরা অনেকবার শুনিয়াছি। কেন, যদি দেশে খাবার কুলায় না, তবে ভিন্ন দেশে এত চাউল গম রপ্তানি হয় কি প্রকারে ?” এ সম্প্রদায়ের লোকে বুঝেন না যে, দেশে অকুলান থাকিলেও বিদেশে জিনিষ রপ্তানি হইতে পারে। যে আমায় বেশী টাকা দিবে, তাহাকেই আমি জিনির্ব বেচিব। // যদি এ দেশে কোন খাদ্য কুলান হয়, তর্বে সে চাউল। চাউল জুটিল না বলিয়া श्रेष्ठ পাঞ্ছল না-এরূপ দুরবস্থা যে সকল লোকের ঘটে, তাহাদের সংখ্যা এদেশে নিতান্ত
- বঙ্গদর্শন, ১২৮৮), ভাদ্র।