পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরচরিত 8ぐ) এ সম্বন্ধে ভবভূতির স্থান কোথায় ? তাহা তাহার তিনখানি নাটক পৰ্য্যালোচিত SSDDB BBBD BD DD DS S DD DDBBB DBDBB BB SS SBBD DDDDBBBD দেখিয়া ঠাঁহাকে অতি উচ্চাসন দেওয়া যায় না। উত্তরচরিতে ভবভূতি অনেক দূর পর্য্যন্ত বাল্মীকির অনুবন্ত্ৰী হইতে বাধ্য হইয়াছেন, সুতরাং তঁাহার সৃষ্টিমধ্যে নবীনত্বের অভাব, এবং সৃষ্টিচাতুৰ্য্যের প্রচার করিবার পথও পান নাই। চরিত্র সৃজন সম্বন্ধে ইহা বলা যাইতে পারে যে, রাম ও সীতা ভিন্ন কোন নায়ক নায়িকার প্রাধান্য নাই। সীতা, রামায়ণের সীতার প্রতিকৃতি মাত্র। রামের চরিত্র, রামায়ণের রামের চরিত্রের উৎকৃষ্ট প্রতিকৃতিও । নহে—ভবভূতির হস্তে সে মহচ্চিত্র যে বিকৃত হইয়া গিয়াছে, তাহ পূর্বেই প্ৰতিপন্ন করা গিয়াছে। সীতাও তাহার কাছে, অপেক্ষাকৃত পরসাময়িক স্ত্রীলোকের চরিত্র কতক দূর পাইয়াছেন। তাই বলিয়া এমত বলা যায় না যে, উত্তরচরিতে চরিত্রসৃষ্টি-চাতুৰ্য্য কিছুই লক্ষিত হয় না। বাসন্তী ভবভূতির অভিনব সৃষ্টি বটে, এবং এ চরিত্র অত্যন্ত মনোহর। আমরা বাসন্তীর চরিত্রের সবিশেষ পরিচয় দিয়াছি, সুতরাং তৎসম্বন্ধে আর বিস্তারের আবশ্যক নাই। এই পরদুঃখকাতর হৃদয়া, স্নেহময়ী, বনাচারিণী যে অবধি প্ৰথম দেখা দিলেন, সেই অবধিই তাহার প্রতি পাঠকের গ্ৰীতি সঞ্চার হইতে থাকিল। r তদ্ভিন্ন চন্দ্ৰকেতু ও লবের চিত্রও প্রশংসনীয়। প্রাচীন কবিদিগের ন্যায়। ভবভূতিও জড় পদার্থকে রূপবান কারণে বিলক্ষণ সুচতুর। তমসা, মুরলা, গঙ্গা, এবং পৃথিবী এই নাটকে মানবীরূপিণী। সেই রূপগুলিন যে মনোহর হইয়াছে, তাহা পূর্বেই বলিয়াছি। কবির সৃষ্টি—চরিত্র, রূপ, স্থান, অবস্থা, কাৰ্য্যাদিতে পরিণত হয়। ইহার মুধ্যে কোন একটির সৃষ্টি কবির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নহে। সকলের সংযোগে সৌন্দর্য্যের সৃষ্টিই তাহার মুখ্য উদ্দেশ্য। চরিত্র, রূপ, স্থান, অবস্থা, কাৰ্য্য, এ সকলের সমবায়ে যাহা দাড়াইল, তাহা যদি সুন্দর হইল, তবেই কবি সিদ্ধ।কাম হইলেন। ভবভূতির চরিত্রসৃজনের ক্ষমতার পরিচয় দিয়াছি। অন্যান্য বিষয়ে তাহার সৃজনকৌশলের পরিচয় ছায়া নামে উত্তরচরিতের তৃতীয়াঙ্ক। আমাদিগের পরিশ্রম যদি নিস্ফল ፵! হইয়া থাকে, তবে পাঠক সেই ছায়ার মোহিনী শক্তি অনুভূত করিয়াছেন। ঈদৃশ द्रभगैग्रा ग्रठि अडि फूलड। মৃষ্টি-কৌশল কবির প্রধান গুণ। কবির আর একটি বিশেষ গুণ রসোদ্ভাবন। রসোদ্ভাবন কাহাকে বলে, আমরা বুঝাইতে বাসনা করি, কিন্তু রস শব্দটি ব্যবহার করিয়াই