পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V বিবিধ প্ৰবন্ধ আমরা সেই মনোমোহিনী কথার ক্রমশঃ সমালোচনা করিব । অন্ধমুখে, লক্ষ্মণ রাম সীতাকে একখানি চিত্র দেখাইতেছেন। জনকাদির বিচ্ছেদে দুৰ্ম্মনায়মান গর্ভিণী সীতার বিনোদনার্থ এই চিত্ৰ প্ৰস্তুত হইয়াছিল। তাহাতে সীতার অগ্নিশুদ্ধি পৰ্য্যন্ত রামসীতার পূর্ববৃত্তান্ত চিত্রিত হইয়াছিল। এই “চিত্রদর্শন” কেবল প্ৰেমপরিপূর্ণ-স্নেহ যেন তার ধরে না। কথায় কথায় এই প্ৰেম । যখন অগ্নিশুদ্ধির কথার প্ৰসঙ্গীমাত্রে রাম, সীতাবমাননা ও সীতার পীড়ন জন্য আত্মতিরস্কার করিতেছিলেন-তখন সীতার কেবল “হোদু অজ্জ উত্ত হোদু—এহি পেকৃখহ্ম দাবি দে চরিদং”-এই কথাতেই কত প্ৰেম ! যখন মিথিলাবৃত্তান্তে সীতা রামের চিত্ৰ দেখিলেন, তখন কত প্ৰেম উছলিয়া উঠিল ! সীতা দেখিলেন, “অহ্মহে দলগ্ন বাণী লুপ পলসামলসির্ণিদ্ধমসিাণসে হ্যমাণমংসলেন দেহ সোহগগেণ বিহ্ম অথিমিদতাব্দDDBLLBB DBBBB BBBBDBBBBBKB BBDBDSBB BBB BBB BDBBB S যখন রাম, সীতার বধুবেশ মনে করিয়া বলিলেন, প্রতনুবিস্তুলৈ; প্রান্তোশ্মীলম্মানোই বুকুন্তলৈর্দশন মুকুলৈঘুগ্ধালোকং শিশুর্দধতী মুখম। ললিত ললিতৈর্জ্যোৎস্নাপ্ৰায়ৈ রকৃত্ৰিমবিভ্ৰমৈরকৃত মধুরৈীরস্থানাং মে কুতুক লমঙ্গকৈ: |——+ যখন গোদাবরীতীর স্মরণ করিয়া কহিলেন, কিমপি কিমপি মন্দং মন্দমাসক্তিযোগদবিবলিত কপোলং জল্পতে রক্রমেণ । অশিথিলপরিত্নস্তব্যাপৃতৈকৈক দোষ্ণোরবিদিতগত যাম রাত্ৰিৱেব ব্যৱংসীৎ |ঃ

  • আহা ! 'আৰ্য্যপুত্রের কি সুন্দর চিত্র। প্ৰফুল্ল প্ৰায় নবনীলোৎপলবৎ শ্যামল স্মিন্ধ কোমল শোভাবিশিষ্ট কি দেহ-সৌন্দর্য । কেমন 'অবলীলাক্রমে হার ধনু ভাঙ্গিতেছেন, মুখমণ্ডল কেমন শিখণ্ডে শোভিত । পিতা বিস্মিত হইয়া এই সুন্দর শোভা দেখিতেছেন । আহা কি সুন্দর ।

+ "মাতৃগণ তৎকালে বালা জানকীর অঙ্গসৌষ্ঠবাদি দেখিয়া কি সুখীই হইয়াছিলেন, এবং ইনিও অতি সূক্ষ্ম স্বাক্ষা ও অনতি-নিবিড় দন্তগুলি, তাহার উভয়পার্শ্বস্তু মনোহর কুন্তলমনোহর মুখশ্ৰী, আর মুন্দর চন্দ্ৰকিরণ-সদৃশ নির্মল এবং কৃত্রিমবিলাসরহিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হস্ত পদাদি অঙ্গদ্বারা তঁহাদের আনন্দের একশেষ করিয়াছিলেন।” নৃসিংহ বাবুর অনুবাদ । এই কবিতাটি বালিকা বধূর বর্ণনার চূড়ান্ত । tঃ “একত্র শয়ন করিয়া পরস্পরের কাপোলাদেশ পরস্পরের কাপোলের সহিত সংলগ্ন করিয়া এবং উভয়ে এক এক হস্ত দ্বারা গাঢ় আলিঙ্গন করিয়া অনবরত মৃদুস্বরে ও যাদৃচ্ছিাক্রমে বহুবিধ গল্প করিতে করিতে অজ্ঞাতসারে রাত্রি অতিবাতি ত কারিতাম ।’’