বিজ্ঞাপন যে সকল প্ৰবন্ধ এই সংগ্রহে পুনর্মুদ্রিত হইল, তাহার অধিকাংশ বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হইয়াছিল ; আল্লভাগ প্রচারে । ১২৭৯ সালে আমি বঙ্গদর্শন প্ৰকাশ আরম্ভ করি। চারি বৎসর আমি উহার সম্পাদকতা নির্বাহ করি। ঐ চারি বৎসরের বঙ্গদর্শন আর পাওয়া যায় না। কিন্তু ঐ চারি বৎসরের বঙ্গদর্শন, বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাসে-যেমন সামান্যই হউক, একটু স্থান লাভ করিয়াছে । এ জন্য অনেকে উহা পাইবার অভিলাষ করেন । অনেকে আমাকে সে জন্য পত্র লেখেন ; কিন্তু যাহা নাই, তাহা আমি দিতে পারি না। অনেকে পরামর্শ দেন যে, বঙ্গদর্শন পুনমুদ্রিত কর। কিন্তু বঙ্গদর্শনের আমি একমাত্র লেখক ছিলাম না । অন্যের রচনা আমি কি প্রকারে পুনমূদ্রিত করিব ? যাহা পারি, তাহা করিয়াছি। আমার নিজের রচনার অধিকাংশই ইতিপূর্বে পুনমূদ্রিত করিয়াছি। যাহা বাকি ছিল, তাহার মধ্যে কতকগুলি এই প্ৰবন্ধে পুনমুদ্রিত করিলাম। t সকল গুলি পুনমূদ্রিত করিবার সোগ্যও নহে। যাহা এ পৰ্য্যন্ত পুনর্মুদ্রিত হয় নাই, তাহা হইতে বাছিয়া বাছিয়া কয়েকটি মাত্র পুনমুদ্রিত করিলাম। ইহার সঙ্গে প্রচার নামক পত্রে প্রকাশিত কয়েকটি প্রবন্ধও পুনমুদ্রিত করিলাম। অবশিষ্ট প্রবন্ধগুলি পুনমুদ্রিত করিব কি না, তাহা এক্ষণে বলিতে পারি না । যাহা পুনমুদ্রিত হইল, তাহার মধ্যে কতকগুলি পুনমুদ্রিত করা উচিত হইয়াছে কি না, এ বিষয় বিচারের স্থল। “বঙ্গদেশের কৃষক” তাহার মধ্যে একটি। যে সকল কারণে ঐ প্রবন্ধ পুনঃমুদ্রিত করিলাম, তাহা ঐ প্রবন্ধের শিরোভাগে কতক কতক লিখিয়াছি। কিন্তু ঐখানে সকল কথা লিখিবার স্থান করিতে পারা যায় নাই । আমি সেখানে স্বীকার করিয়াছি যে, ঐ প্রবন্ধে অর্থশাস্ত্ৰঘটিত বিচারে কতকগুলি ভ্ৰম আছে। ভ্ৰমগুলি সংশোধিত না করিয়া প্ৰবন্ধটি পুনমুদ্রিত করার একটি কারণ সেইখানে লিখিয়াছি। আর একটি কারণ নিদিষ্ট করিবার উপযুক্ত স্থান এই। ঐ প্রবন্ধটি বঙ্গদর্শনে যেমন বাহির হইয়াছিল, তেমনই পুনমুদ্রিত করিতে চাই। যে মানুষ খাতি লাভ করে, তাহার দোষ গুণ আমরা छ्रे দেখিতে ইচ্ছা করি } এই প্ৰবন্ধটিও খ্যাতি লাভ করিয়াছিল ; অনেক পাঠক ঐ প্রবন্ধটিও দোষ গুণ সমেত দেখিতে ইচ্ছা করিতে পারেন । এরূপ বিবেচনা করিয়াও বহুবিবাহবিষয়ক প্ৰবন্ধটি অখণ্ড পুনমুদ্রিত করিতে পারিলাম না । বিদ্যাসাগর মহাশয় এক্ষণে স্বৰ্গারাঢ়, তীব্ৰ সমালোচনায় তাহার। আর কোন ক্ষতিবৃদ্ধি নাই। কিন্তু তাহার জীবদ্দশায় কৰ্ত্তব্যানুরোধে তাহার গ্ৰন্থ যেরূপ তীব্ৰতার
