5 বিবিধ প্ৰবন্ধ-দ্বিতীয় ভাগ আনায় এক মণি চাউল পাওয়া যাইত, সেখানে এখন আড়াই টাকা লাগে ; যেখানে টাকায় তিন সের ঘূত ছিল, সেখানে টাকায় তিন পোয় পাওয়া ভার। কিন্তু ইহাতে এমত বুঝায় না যে, বস্তুতঃ চাউল বা ঘূত দুৰ্ম্মলা হইয়াছে। টাকা সস্তা হইয়াছে, ইহাই বুঝায়। সে সাহাই হউক, এক টাকার ধান এখন যে দুই তিন টাকার ধান হইয়াছে, তাহাতে ाrन्छठ ठान्छे । ইস্তার ফল। এই যে, যে ভূমিতে কৃষক এক টাকা উৎপন্ন করিত, সে ভূমিতে দুই তিন টাকা উৎপন্ন হয় । সে ভূমিতে দশ টাকা হইত, তাহাতে ১০ কি ৩০ টাকা হয়। বঙ্গদেশের সৰ্ব্বত্রই বা অধিকাংশ স্থানে এইরূপ হইয়াছে, সুতরাং এই এক কারণে ধঙ্গিদেশের কুষিজাত বাষিক ৩ায়ের বুদ্ধি হই যু{{ছে । আবার পূর্বেই সপ্রমাণ করা গিয়াছে, কসিত ভূমিরও অধিক । তইয়াছে। তবে দুই প্রকারে কৃষিজাত তায়ের বৃদ্ধি তই য়াছে ; প্রথম, কথিত ভূমির আধিকো, দ্বিতীয়, ফসলের ১লা বৃদ্ধিতে । যেখানে এক বিঘা। ভূমিতে তিন টাকার ফসল ঠাইত, সেখানে সেই এক বিধায় ছয় টাকা জন্মে, তা|বার আর এক বিঘা জঙ্গল পতিত আবাদ তইয়া, আর ছয় টাকা ; মোটে তিন টাকার স্থানে বার টাকা জন্মিতেছে । এই রূপে বঙ্গদেশের কৃষিক্তগত আয় যে চিরস্থায়ী বন্দোধস্তের সময় হইতে এ পৰ্য্যন্ত তিন চারিগুণ বৃদ্ধি হইয়াছে, ইহা বলিলে তাতু্যক্তি হইবে না। এই বেশী টাকাটা কার ঘরে যায় ? কে লাইতেছে ? এ ধান কৃষিজাত-কৃষকেরই প্ৰাপ্য-পাঠকেরা হঠাৎ মনে করিবেন, কৃষকেরাই পায় । বাস্তবিক তাহারা পায় না । কে পায়, আমরা দেখাইতেছি । কিছু রাজ্যভাণ্ডারে যায়। গত সন ১৮৭১ |৭১ সালের যে বিজ্ঞাপনী কলিকাতা রেবিনিউ বোড়া হইতে প্রচার হইয়াছে, তাহাতে কাৰ্য্যাধ্যক্ষ সাহেব লিখেন, ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময়ে যে প্রদেশে ১,৮৫,৮৭.৭, ১১ টাকা রাজস্ব ধাৰ্য্য ছিল, সেই প্রদেশ হইতে এক্ষণে ৩,৫৭,৪১,১৪৮ টাকা রাজস্ব আদায় হইতেছে। অনেকে অবাক হইয়া জিজ্ঞাসা করিবেন, যে কার চিরকালের জন্য অবধারিত হইয়াছে, তাহার। আবার বৃদ্ধি কি ? শক সাহেব বৃদ্ধির কারণ সকলও নির্দেশ করিয়াছেন-যথা, তৌফির বন্দোবস্ত, লাখের স্বজ বাজে আপ্ত, নূতন “পয়স্তি”। ভূমির উপর কর সংস্থাপন, খাসমহলের কর বৃদ্ধি ইত্যাদি। অনেকে বলিবেন, ঐ সকল বৃদ্ধি যাহা হইবার হইয়াছে, আর বড় অধিক হইবে না। কিন্তু শক সাহেব দেখাইয়াছেন, এই বৃদ্ধি নিয়মিতরূপে হইতেছে। পূর্বাবধারিত করের উপর বেশী যাহা এক্ষণে গবৰ্ণমেণ্ট পাইতেছেন-সাড়ে বাষট্টি লক্ষ টাকা-তােহা কৃষিজাত ধন হইতেই পাইতেছেন । V5
