পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশের কৃষক QVed তত্ত্বের আলোচনা করিয়া সেইরূপই স্থির করিয়াছেন। এবং তঁহাদের অনুসন্ধানানুসারে ধনের সাধারণতাই সমাজোন্নতির লক্ষণ বলিয়া স্থির হইয়াছে। ইহাই মূন্যায়সঙ্গত । পঢ় সাত জন টাকার গাদায় গড়াগড়ি দিবে, আর ছয় কোটি লোক আন্নাভাবে মারা যাইবে, ইহা অপেক্ষা অন্যায় আর কিছু কি সংসারে আছে ? সেই জন্যই কর্ণওয়ালিসের বন্দোবস্ত অতিশয় দৃশ্য। প্রজা ওয়ারি বন্দোবস্ত হইলে, এই দুই চারি জন অতিধন্যবান ব্যক্তির পরিবর্তে আমরা ছয় কোটি সুখী প্ৰজা দেখিতাম ! দেশ শুদ্ধ অন্নের কাঙ্গাল, আর পাঁচ সাত জন টাকা খরচ করিয়া ফুরাইতে পারে না, সে ভাল, না-সকলেই সুখ স্বচ্ছন্দে আছে, কাহারও নিম্প্রয়োজনীয় ধন নাই, সে ভাল ? দ্বিতীয় অবস্থা যে প্রথমোক্ত অবস্থা হইতে শতগুণে ভাল, তাহা বুদ্ধিমানে অস্বীকার করিবেন না। প্রথমোক্ত অবস্থায় কাহারও মঙ্গল নাই । যিনি টাকার গাদায় গড়াগড়ি দেন, এ দেশে প্রায় তঁহার গর্দ। পূজন্ম ঘটিয়া উঠে । আর যাহা বা নিতান্ত অন্নবস্ত্রের কাঙ্গাল, তাহদের কোন শক্তি হয় না । (কাঁহ অধিক বড় মানুষ না হইয়া, জনসাধারণের স্বচ্ছন্দাবস্থ৷ হইলে সকলেই ম্যুপ্রকৃত হইত। দেশের উন্নতির সীমা থাকিত না। এখন যে জন পাঁচ ছয় বাবুতে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশনের ঘরে বসিয়া মৃদু মৃদু কথা কঠেন, তৎপরিবর্ভে তখন এই ছয় কোটি প্রজার মুদ্রগর্জনগাষ্ঠীর মহানিনাদ শুনা যাইত । আমরা দেখাই লাম যে, র্যাতারা বিবেচনা করেন যে, জমিদার দেশের পক্ষে প্রয়োজনীয় V বা উপকারী, তাহাঁদের তদ্রুপ বিশ্বাসের কোন কারণ নাই ।