বিবিধ প্ৰবন্ধ-দ্বিতীয় ভাগ وایا ক্ষত্রিয়কন্যা, বৈশ্যকন্যা, এবং শূদ্রকন্যা বিবাহ করিব। আমাদিগের মধ্যে যখনই কাহারও স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে বাচসা করিয়া বাপের বাড়ী যাইবে, আমরা তখনই বিবাহের উদ্দেশ্য অসিদ্ধ বলিয়া, ছোট জাতির মেয়ে খুজিব । গৃহিণী যখন ঝগড়া করিয়াছেন, তখন রাগের মাথায় সন্মতি দিবেন, সন্দেহ নাই। এই দুই কোটি বাঙ্গালীর মধ্যে যাহারই স্ত্রী বন্ধ্যা,* সেই আর একটি বিবাহ করুক-যাহারই স্ত্রী মৃতপ্ৰজা, সেই আর একটি বিবাহ করুক-যে হতভাগিনীকে বিধাতা বর্ষে বর্ষে মনঃপীড়া দিয়া থাকেন, স্বামীও তাহার মৰ্ম্মান্তিক পীড়ার বিধান করুন ; কেন না, ইহ শাস্ত্রসম্মত। তদ্ভিন্ন যাহার কন্যা ভিন্ন পুত্র জন্মে নাই, এই দুই কোটি হিন্দুর মধ্যে এমত যত লোক আছে, সকলেই আর এক এক দারপরিগ্ৰহ করুন। আমাদিগের এমন ভরসা আছে যে, এই সকল কারণে হিন্দুগণ শাস্ত্রানুসারে অধিবেদনে প্ৰবৃত্ত হইলে, এখন যেখানে একজন কুলীন ব্ৰাহ্মণ বহুবিবাহপরায়ণ, সেখানে সহস্ৰ সহস্ৰ কুলীন, আকুলান, ব্ৰাহ্মণ, শূদ্র, বহু পত্নী লইয়া সুখে স্বচ্ছন্দে শাস্ত্রানুসারে সংসারধা শৰ্ম্ম করিতে থাকিবেন ।” কিন্তু এখনও শাস্ত্রের মহিমা শেষ হয় নাই । ধৰ্ম্মশাস্ত্রের প্রধান বিধির উল্লেখ করিতে বাকি আছে । “সদ্যস্তৃপ্ৰিয়বাদিনী ।”-ভাৰ্য্যা অপ্ৰিয়বাদিনী হইলে, সদ্যই অধিবেদন করিবে ! আমাদিগের বিশেষ অনুরোধ যে, র্যাহার র্যাহার 'ভাৰ্য্যা অপ্ৰিয়বাদিনী, তাহারা হিন্দুশাস্ত্রের গৌরববৰ্দ্ধনােৰ্থ সদ্যই পুনৰ্ব্বার বিধাহ করুন। স্ত্রীলোক স্বভাবতঃ মুখারী, দ্বিতীয়া ভাৰ্য্যাও অপ্ৰিয়বাদিনী হইলে হইতে পারে,--তাহা হইলে আবার তৃতীয় বিবাহ করিবেন ; তৃতীয়াও যদি আপ্রিয়বাদিনী হয় ( বাঙ্গালীর মেয়ের মুখ ভাল নহে ), তবে আবার বিবাহ করিবেন-এরূপ “লোকহিতৈষী নিরীহ শাস্ত্ৰকারদিগের" অনুকম্পায় Գ যাহাকে একদিন না একদিন স্ত্রীর কাছে "মুখঝামটা” খাইতে না হয় । অতএব আমাদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্রের অনন্ত মহিমার গুণে সকলেই অনন্তসংখ্যক গৃহিণী কর্তৃক পরিবেষ্টিত হইয়া জীবনযাত্ৰ নিৰ্বাহ করিতে পাব্লিবে । যাঁহারই স্ত্রী, ননন্দার সঠিত বাচসা করিয়া আসিয়া স্বামীর উপর তর্জন গর্জন করিবেন, তিনিই তৎক্ষণাৎ অ্যান্য বিবাহ করিতে পরিবেন। যাঁহারই স্ত্রী, যাতার অঙ্গে নুতন অলঙ্কার দেখিয়া আসিয়া স্বামীকে বলিবেন, "তোমার হাতে পড়িয়া আমার কোন সুখ হইল না," তিনি তৎক্ষণাৎ সেই রা.েv, ঘটক • “বন্ধ্যাষ্টিমেইধিবেদ্যাব্দে দশমে তু মৃতপ্ৰজা । একাদশে শ্ৰীজননী সদ্যস্তৃপ্রিয়বাদিনী ॥”-বহুবিবাহ, দ্বিতীয় পুস্তক, ১৪৩ ৷৷ বহুবিবাহ, দ্বিতীয় পুস্তক, ২১২ পৃ: |
