পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\Soწვ« विविक्ष (अवक्ष-छेिऊँीश उां এই সকল সঙ্করবর্ণ, ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়, বৈশ্যমধ্যে স্থান পায় নাই, ইহা একরূপ নিশ্চিত। এবং ইহারা যে শূদ্রদিগের মধ্যে স্থান পাইয়াছিল, তাহাও স্পষ্ট দেখা গিয়াছে। আয়োগবি বা ব্রাত্য এক্ষণে বাঙ্গালায় নাই ; কখন ছিল কি না সন্দেহ ; কেন না, ক্ষত্রিয় বৈশ্য বাঙ্গালায় কখন আইসে নাই। কিন্তু চণ্ডালের বাঙ্গালায় অতিশয় বহুল ; বাঙ্গালী শূদ্রের তাহা একটি প্রধান ভাগ। চণ্ডালেরা অন্ততঃ মাতৃকুলে আৰ্য্যবংশীয়। বাঙ্গালায় শূদ্রজাতি অনেকেই সঙ্করবর্ণ; সঙ্করবর্ণ হইলেই যে তাহদের শরীরে আর্য্যশোণিত, হয় পিতৃকুল, নয়। মাতৃকুল হইতে আগত হইয়া বাহিত হইবে, তদ্বিষয়ে সংশয় নাই। বাঙ্গালায় অম্বষ্ঠা আছে, তাহারা যে উভয় কুলে বিশুদ্ধ আৰ্য্য, তাহার প্রমাণ উপরে দেওয়া গিয়াছে। কেন না, ব্ৰাহ্মণ ও বৈশ্য উভয়েই বিশুদ্ধ আৰ্য্য। তৃতীয, আমরা শেষ তিন পরিচ্ছেদে যাহা বলিলাম, তাহা হইতে উপলব্ধি হইতেছে যে, বাঙ্গালায় শূদ্রমধ্যে কতকগুলি বিশুদ্ধ আৰ্য্যবংশীয় এবং কতকগুলি আর্যো অনাৰ্য্যে মিশ্রিত, পিতৃমাতৃকুলের মধ্যে এক কুলে আৰ্য্য, আর এক কুলে অনাৰ্য্য। চতুর্থত:, কতকগুলি শূদ্ৰজাতি প্রাচীন কাল হইতে আৰ্যজাতিমধ্যে গণ্য, কিন্তু আধুনিক বাঙ্গালায় তাহারা শূদ্র বলিয়া পরিচিত ; যথা বণিক। বণিকেরা বৈশ্য ; তাহার প্রমাণ প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থে পৰ্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। বোধ হয়, কেহই তাহাদিগের বৈশ্যত্ব অস্বীকার করিবেন না। বাঙ্গালায় শূদ্রমধ্যে যে বৈশ্য আছে, তাহার। ইহাই এক অখণ্ডনীয় প্রমাণ । সপ্তম পরিচ্ছেদ-৬ স্থূল কথা বাঙ্গালী জাতির উৎপত্তির অনুসন্ধান করিতে প্ৰবৃত্ত হইয়া আমরা যাহা পাইয়াছি, তাহার পুনরুক্তি করিতেছি। ভাষাবিজ্ঞানের সাহায্যে ইহা স্থিরীকৃত হইয়াছে যে, ভারতীয় এবং ইউ1ে:পীয় প্ৰধান জাতিসকল এক প্ৰাচীন আৰ্য্যবংশ হইতে উৎপন্ন। যাহার ভাষা আৰ্য্যভাষা, সেই আৰ্য্যবংশীয় । বাঙ্গালীর ভাষা আৰ্যভাষা, এ জন্য বাঙ্গালী আৰ্য্যবংশীয় জাতি । কিন্তু বাঙ্গালী অমিশ্রিত বা বিশুদ্ধ আৰ্য্য নহে। ব্ৰাহ্মণ অমিশ্রিত এবং বিশুদ্ধ আৰ্য্য সন্দেহ নাই ; কেন না, ব্ৰাহ্মণের ব্ৰাহ্মণ হইতেই উৎপত্তি ভিন্ন সঙ্করত্ব সম্ভবে না, সঙ্করত্ব ঘটিলে

  • বঙ্গদর্শন, ১২৮৮), জ্যৈষ্ঠ ।