Šბ8ა विविक्ष (2दक्ष-विर्डीश उठां* এক্ষণে এই বাঙ্গালী জাতি কি প্রকারে উৎপন্ন হইল, তাহা আমরা বুঝিয়াছি। প্রথম কোলবংশীয় অনাৰ্য্য, তার পর দ্রাবিড়বংশীয় অনাৰ্য্য, তার পর আর্য্য ; এই তিনে মিশিয়া আধুনিক বাঙ্গালী জাতির উৎপত্তি হইয়াছে। সাত্মন, ডেন ও নিৰ্ম্মান মিশিয়া ইংরেজ জন্মিয়াছে। কিন্তু ইংরেজের গঠনে ও বাঙ্গালীর গঠনে দুইটি বিশেষ প্ৰভেদ আছে। টিউটন হউক বা নৰ্ম্মান হউক, যতগুলি জাতির সংমিশ্রণে ইংরেজ জাতি প্ৰস্তুত হইয়াছে, সকলগুলিই আৰ্য্যবংশীয় । বাঙ্গালী যে কয়েকটি জাতিতে গঠিত হইয়াছে, তাহার কেহ আৰ্য্য, কেহ অনাৰ্য্য । দ্বিতীয় প্রভেদ এই যে, ইংলণ্ডে টিউটন ও ডেন ও নিৰ্ম্মান, এই তিন জাতির রক্ত একত্রে মিশিয়াছে। পরস্পরের সহিত বিবাহাদি সম্বন্ধের দ্বারা মিলিত হইয়া তাহাদিগের পার্থক্য লুপ্ত হইয়াছে। তিনে এক জাতি দাড়াইয়াছে, বাছিয়া তিনটি পৃথক করিবার উপায় নাই । মোটের উপর এক ইংরেজ জাতি কেবল পাওয়া যায়। কিন্তু ভারতীয় আৰ্য্যদিগের বর্ণধৰ্ম্মিত্বহেতু বাঙ্গালায় তিনটি পৃথক স্রোত মিশিয়া একটি প্রবল প্রবাহে পরিণত হয় নাই ; আৰ্যসস্তুত ব্ৰাহ্মণ অনাৰ্য্যসন্থত অন্য জাতি হইতে সম্পূর্ণ পৃথক্ রহিয়াছেন। যদি কোন স্থানে আৰ্য্যে অনাৰ্য্যে বৈধ বিবাহ বা অবৈধ সংসর্গের দ্বারা সংমিশ্রণ ঘটিয়াছে, সেখানে সেই সংমিশ্রণে উৎপন্ন সন্তানেরা আৰ্য অনাৰ্য্য হইতে আর একটি পৃথক জাতি হইয়া রহিয়াছে। চণ্ডালেরা ইহার উদাহরণ । ইংরেজ একজাতি, বাঙ্গালীরা বহুজাতি । বাস্তবিক এক্ষণে যাহাদিগকে আমরা বাঙ্গালী বলি, তাহাদিগের মধ্যে চারি প্রকার বাঙ্গালী পাই । এক আৰ্য্য, দ্বিতীয় অনাৰ্য্য হিন্দু, তৃতীয় আৰ্য্যানাৰ্য্য হিন্দু, আর তিনের বার এক চতুর্থ জাতি বাঙ্গালী মুসলমান। চারি ভাগ পরস্পর হইতে পৃথক থাকে। বাঙ্গালীসমাজের নিম্ন স্তরেই বাঙ্গালী অনাৰ্য্য বা মিশ্ৰিত আৰ্য্য ও বাঙ্গালী মুসলমান ; উপরের স্তরে প্রায কেবলই আৰ্য্য। এই জন্যে দূর হইতে দেখিতে বাঙ্গালীজাতি অমিশ্ৰিত আৰ্য্যজাতি বলিয়াই বোধ হয় এবং বাঙ্গালার ইতিহাস এক আৰ্য্যবংশীয় জাতির ইতিহাস বলিয়া লিখিত হয় ।