পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৫৯).pdf/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট x©ዓዓ যে অবধি ইনি মহাভারতে দেখা দিলেন, সেই অবধি এই মহেতিহাসের মূল গ্ৰন্থির জন্তু ইহার হাতে-প্ৰকাশ্যে কেবল পরামর্শদাতা-কৌশলে সর্বকৰ্ত্তা । ইহার কেহ মৰ্ম্ম বুঝিতে পারে না, কেহ অস্ত পায় না. সে অনন্ত চক্ৰে কেহ প্ৰবেশ করিতে পারে না । ইহার যেমন দক্ষতা, তেমনই ধৈৰ্য্য। উভয়েট দেবতুল্য। পৃথিবীর বীরমণ্ডলী একত্রিত হইয়া যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত, যে ধনু ধরিতে জানে, সেঈ কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ করিতে আসিয়াছিল ; কিন্তু শ্ৰীকৃষ্ণ পাণ্ডবদিগের পরমাত্মীয় হইয়াও কুরুক্ষেত্রে অস্ত্র ধরেন নাই । তিনি মানসিক শক্তিমূৰ্ত্তিমান, বাহুবলের আশ্রয় লইবেন না। র্তাহার অভীষ্ট, পৃথিবীর রাজকুল ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়া, এক পাণ্ডব পৃথিবীশ্বর থাকেন ; স্বপক্ষ বিপক্ষ উভয়ের নিধন না হইলে তাহ ঘটে না ; যিনি ঈশ্ব রাবতার বলিয়া কল্পিত, তান স্বয়ং রণে প্ৰবৃত্ত্বি হইলে, যে পক্ষাবলম্বন করবেন, সেই পক্ষের সম্পূর্ণ রক্ষা সম্ভাবনা। কিন্তু তাই। তাহার উদ্দেশ্য নহে । SBEBB KSDSBB BBB BDBD BBSDD S DDDBD BDD BBD S S DBDBBDBBBBBB rDEDS LDDS DEzS "ভার তাপর্ষ তখন ক্ষুদ্র ২ খণ্ডে বিভক্ত ; খণ্ডে২, এক একটি ক্ষুদ্র রাজা । ক্ষুদ্র ২ রাজগণ, পরস্পরকে আক্রমণ ক1রয়। পরস্পরকে ক্ষীণ কারিত, ভারতবর্ষ আবিরত সমরানলে দগ্ধ হইতে থাকিস্ত । শ্ৰীকৃষ্ণ বুঝিলেন যে, এই সসাগর। ভারত একচ্ছত্রাধীন না। চাইলে ভারতের শাস্তি নাই ; শান্তি ভিন্ন লোকের রক্ষা নাই ; উন্নতি নাই । অতএব এই ক্ষুদ্র পরস্পরবিদ্বেষী রাজগণকে প্ৰথমে ধ্বংস করা কীৰ্ত্তব্য ; তাহা হইলেই ভারতবর্ষ একায়িত্ত, শান্ত, এবং উন্নত হইবে । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তাহাবা পরস্পবের অস্ত্রে পরস্পরে নিহত হয়, ইহাই ভঁাচার উদ্দেশ্য হইল। ই তারই পৌরাণিক নাম পৃথিবীর ভারমোচন। শ্ৰীকৃষ্ণ স্বয়ং যুদ্ধ করিয়া. এক পক্ষেব রক্ষা চেষ্টা করিয়া, কেন সে উদ্দেশ্যের দিয়ে করিবেন ? তিনি বিনা অস্ত্ৰধারণে, অৰ্জ্জুনের রথে বসিয়া, ভারতরাজকুলের ধ্বংস সিদ্ধাকরিলেন। এইরূপ মহাভারতীয় কৃষ্ণচরিত্র যতই আলোচনা করা যাইবে, ততই তা হাতে এই ক্রুর কৰ্ম্ম দূরদশী রাজনীতিবিশারদের লক্ষণ সকল দেখা যাইবে । তা হাতে বিলাস প্ৰিয়তার লেশ মাত্র নাট-গোপবালকের চিহ্ন মাত্ৰ নাই । এ দিকে দর্শনশাস্ত্রের প্রাদুর্ভাব হইতেছিল। বৈদিক ও পৌরাণিক দেবগণের আরাধনা করিয়া ‘মার মাৰ্জিতবুদ্ধি আৰ্য্যগণ সন্তুষ্ট নহেন । তঁাহারা দেখিলেন যে, যে সকল ভিন্ন ২ নৈসর্গিক শক্তিকে তঁাহারা পৃথকৃ২ দেব কল্পনা করিয়া | করিতেন, সকলেই এক মূল শক্তি র ভিন্ন২ বিকাশ মাত্র । জগৎকৰ্ত্ত এক এবং অদ্বিতীয় । তখন ঈশ্বর তত্ত্ব নিরূপণ লইয়া মহাগোলিযোগ উপস্থিত হইল । কেহ বলিলেন, ঈশ্বর আছেন, কেহ বলিলেন নাই । কেহ বfললেন, ঈশ্বর এই জড় জগৎ হইতে পৃথকৃ, কেহ বলিলেন, এই জড় জগৎই ঈশ্বর । তখন নানা জনের নানা মতে লোকের মন অস্থির হইয়া উঠিল ; কোন মতে বিশ্বাস করিবে ? কাহার পুজা করিবে ? কোন পদার্থে ভক্তি করিবে ? দেবভক্তির জীবন নিশ্চয়তা-অনিশ্চয়তা জন্মিলে ভক্তি নষ্ট হয় । পুনঃ২ আন্দোলনে ভক্তিমূল छिन्न হইয়া গেল । অৰ্দ্ধাধিক ভারতবর্ষ নিরীশ্বর বৌদ্ধ মত অবলম্বন করিল। সনাতন ধৰ্ম্ম মহাসঙ্কটে পতিত হইল। শতাব্দীর পর শতাব্দী এইরূপে কাটিয়া গেলে শ্ৰীমদ্ভাগবতকার সেই ধৰ্ম্মের পুনরুদ্ধারে প্রবৃত্ত হইলেন । ইহাতে দ্বিতীয় কৃষ্ণচরিত্র প্রণীত হইল । Ry