পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্র ও বাংলার নবযুগ సెపి yes, energy-I have that in a great measure in my character and in my church. কেশবের চরিত্রে এই শিশুর মত সারল্য ও আত্মপ্রত্যয় বড়ই ërisëto “Am I not practical too f"—Gifts, co-ord এই উক্তি র্তাহার শ্রোতৃবর্গ কি ভাবে গ্রহণ করিয়াছিলেন জানি না ; কিন্তু এতদিন পরে আজ আমরা দূর কণ্ঠের এই আকুল প্রশ্ন শুনিয়া বেদন অনুভব করি। কেশব নিজের সম্বন্ধে যে কৰ্ম্মবীৰ্য্যের কথা বলিয়াছেন, তাহা খুবই সত্য,—যে জলন্ত বিশ্বাস ও নৈতিক উৎসাহ দেশের নবযুগকে একটি বিশেষ দিক দিয়া অগ্রসর করিয়া দিয়াছিলেন। কিন্তু শেষ পৰ্য্যস্ত তিনি “মিষ্টিক’—উনবিংশ শতাব্দীতেও খ্ৰীষ্ট ও চৈতন্যের বংশধর । ইহাই তাহার আত্মার স্বধৰ্ম্ম ; তিনি যদি নিজ জীবনে সিদ্ধিলাভ করিয়াই সন্তুষ্ট থাকিতেন, তবে কথাই ছিল না। কিন্তু তিনি তাহ পারেন নাই ; জাতির পরিত্রাণের জন্য যুগোচিত ধৰ্ম্মচিন্ত৷ তাহাকে ব্যাকুল করিয়াছিল ; ইহাই তাহার মহত্ত্ব, এই জন্যই তিনি সে যুগের একজন স্মরণীয় পুরুষ। বর্তমান যুগ ক্রমশই গণতন্ত্রের দিকে চলিয়াছে। একেশ্বরবাদ একদিন মানুষের ভ্রাতৃত্ববন্ধন দৃঢ় করিয়াছিল, কিন্তু তাহার মূলে ছিল ঈশ্বরাদেশের কঠিন শাসন। ভক্ত কেশব এই শাসনকে স্বাধীন আত্মার সানন্দ স্বীকৃতির সহিত যুক্ত করিয়া লইলেও তিনি মানুষকে বড় করেন নাই, বরং সৰ্ব্বত্র সকল কৰ্ম্মে, মিষ্টিক যোগীর মত, আত্মলব্ধ ঈশ্বরাদেশকেই শিরোধাৰ্য্য করিয়াছেন। ইহাই চিরযুগের ভক্ত সাধকগণের চরিত্র-নীতি। কিন্তু এ যুগের সাধনায় এই মধ্যযুগীয়