পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS o বিবিধ কথা হইয়াছে মাত্র, ইহা আমরা বুঝি না ; তাই অপরাপর মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে শতবার্ষিকী-অনুষ্ঠানের মত তাহারও স্মৃতি-তৰ্পণ আবশ্বকীয় বলিয়। মনে করি । শ্ৰীরামকৃষ্ণ যে শ্রেণীর মহাপুরুষ—অবতারবাদে বিশ্বাস থাক বা না থাক—র্তাহাদের সংখ্যা অতিশয় অল্প। সমস্ত পৃথিবীকে দেশ, এবং সহস্ৰ বৎসরকে কাল ধরিলে—এমন মহাপুরুষ সবকালে একটিও মেলে কিনা সন্দেহ । অন্ধ-ভক্তির কথা নয়, অন্ধ সাম্প্রদায়িক অশ্রদ্ধার কথাও নয়, সৰ্ব্বপ্রকার অভিমান ও স্বার্থসংস্কার মুক্ত হইয়া যিনিই এই মহাপুরুষের সমীপবৰ্ত্তী হইবেন তাহারই প্রতীতি হইবে যে, এই নরদেহধারী ব্যক্তি’ আর সকল ব্যক্তি হইতে স্বতন্ত্র ; এ যেন এক মহাশক্তি ও মহাসত্যের প্রকাশ ; বিশ্বরহস্ত্যের অস্তস্তল হইতে উংস্থষ্ট—কাল ও মহাকালের সংঘর্ষে উৎক্ষিপ্ত—একটি জ্যোতিস্ফুলিঙ্গ। ভূত-ভবিষ্যৎ-বৰ্ত্তমান সমগ্র কালধারায় ইহাকে প্রসারিত করিয়া দেখিতে না পারিলে, ইহার আয়তন সম্যক দৃষ্টিগোচর হয় না। এই আবির্ভাব যাহারই হউক, যে বাণী এই মুক্তি পরিগ্রহ করিয়াছে তাহা যে কালাতীত এবং অপৌরুষেয়, তাহাতে সন্দেহ নাই। আবার কালাতীতকে কালের মধ্যে প্রকাশ হইতে দেখি, ইহাও সত্য ; ইহার কারণ কি ? অবতারবাদী হিন্দু বলিবে—“যদ যদাহি ধৰ্ম্মস্ত গ্লানি: ; অবতারে বিশ্বাসী না হইলেও সেই বাক্যের এই অংশটুকু যে সত্য, তাহা বৰ্ত্তমান কালে প্রমাণ করিতে হইবে না। মানবেতিহাসের নানা যুগে বহু যুগন্ধর পুরুষের আবির্ভাব হইয়াছে—সেই সকল আবির্ভাব, ‘ধৰ্ম্মস্ত মানিঃ’ নয়, কালধারার সুস্থগতির ফলেই হইয়া থাকে—তাহা কালাতীতের আবির্ভাব নয়। কিন্তু ধৰ্ম্মস্ত গ্লানি; যাহাকে বলে, তাহার লক্ষণ একালে যেমন