পাতা:বিবিধ কথা.djvu/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যু-দর্শন ఎ a (t অৰ্দ্ধেক—কি তাহারও বেশি–ভগবান ও দেবতাকুলকে বাটিয়া দিয়াছে, জীবনের স্বৰ্য্যালোক মৃত্যুপারের রহস্যময় কুহেলিকায় আচ্ছন্ন করিয়া দেখিয়াছে, জীবনের উপরে মৃত্যুচিস্তাকে নানা ভাবে নানা ভঙ্গিতে প্রশ্রয় দিয়াছে। এই ভয়-সংশয় আশা-বিশ্বাস তাহার সর্ববিধ ভাবনা ধারণা–হৃদয়ের সূক্ষ্ম তত্ত্বগুলিতে পর্য্যস্ত—জড়াইয়া আছে ; সে এই নশ্বর দেহের ক্ষুৎপিপাসাকে অমৃতপিপাসায় শোধন করিবার চেষ্টা করিয়াছে, ভোগের মধ্যে ত্যাগকে প্রতিষ্ঠিত করিয়া মহন্ত-চরিত্রকে একটা বিরাট বীর-মহিমার আধার করিয়া তুলিয়াছে। এ সকলের মুলে ওই এক সংস্কার—মৃত্যুই শেষ নয়, আত্মা অমর, তাহার গতি লোকলোকান্তরে অপ্রতিহত, এ জীবন তাহার তুলনায় অতি ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ। এইরূপ ভাবনার দ্বারা জীবনকে শোধন করিয়া মানুষ যে আত্মপ্রসাদ লাভ করিয়াছে, মৃত্যুকে মহিমান্বিত করিয়া মৃত্যু-ভয় নিবারণের যে প্রয়াস পাইয়াছে, তাহাতে ইহাই প্রমাণ হয় যে, মানুষ জীবিতকালেই মৃত্যুর সাধনা করিয়াছে—জীবনের অনেকখানি মৃত্যুর নামে উৎসর্গ করিয়া একটা আপোষ করিতে চাহিয়াছে ; নিরতিশয় শূন্ত যাহা তাহাকে কল্পনায় পূর্ণ করিয়া সে বিভীষিকা হইতে যতটা সম্ভব বাচিবার প্রয়াস পাইয়াছে। এই যে মিথ্য, ইহাই আজও পৰ্য্যন্ত জীবনের মূল ভিত্তি হইয়া রহিয়াছে । জীবন একটা প্রকাও আত্মপ্রবঞ্চনী—মানুষের যত কিছু ভাবনা সাধনা এই আত্মপ্রবঞ্চনাকে স্বপ্রতিষ্ঠিত করিবার প্রয়াস । অতি আধুনিক কালে মানুষের এ বিশ্বাস টলিতে স্বরু করিয়াছে, মানুষ ভগবান পরলোক প্রভৃতিতে আর তেমন আস্থাবান হইতে পারিতেছে না, আত্মপ্রবঞ্চনার শক্তি, অর্থাৎ নিছক ভাব-চিন্তা বা কল্পনার শক্তি ক্ষয় হইয়া আসিতেছে। জীবন ও জগৎ এখন বে-আবরু হইয়া