পাতা:বিবিধ কথা.djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙালীর অদৃষ্ট २२१ Eloquence"-কেই সেকালের সকল ভাষা ও সাহিত্যের দীক্ষামন্ত্র করিয়া তুলিয়াছিল—অনেকটা সেই ধরনের মোহে বঙ্কিমচন্দ্র সংস্কৃতহিন্দু-কালচারকেই তাহার স্বজাতির জন্য দাবি করিয়াছিলেন, এবং Sanskrit Eloquence-45 stată fail sista nost E e -fs সম্পাদন করিয়াছিলেন ; বাংলা সাহিত্যে নব-জীবন সঞ্চারের পক্ষে তাহার এই মোহই মুক্তিরূপে জলিয়া উঠিয়াছিল। কিন্তু তথাপি তাহার এই প্রতিভার মূলে ছিল তাহার খাটি বাঙালী প্রাণ। ভাল করিয়া বিশ্লেষণ করিয়া দেখিলে বুঝা যাইবে যে, বঙ্কিমের এই সাহিত্য-বিগ্ৰহ এক নব-স্বষ্টি ; ইহার উপাদান যাহাই হউক, ইহার স্বষ্টিমূলে বাঙালীর প্রাণই স্পন্দিত হইতেছে। কারণ, এই বিগ্রহের আদর্শ ছিল ইংরেজী, কিন্তু প্রাণ-ধৰ্ম্মের আশ্চৰ্য্য মহিমায় এই বিগ্রহের মধ্যেই বাঙালীর ইষ্টমন্ত্র মূৰ্ত্তিধারণ করিয়াছে। নূতনকে বরণ করিয়া, আত্মসাৎ করিয়া—তাহাকে কেবল তত্ত্বের মধ্যে নয়, একটি ভাব-মূৰ্ত্তিতে পরিণত করিয়া—সেই নূতনকে আপনার মন্ত্রে আরতি করাই বাঙালীর বাঙালীত্বের নিদান। বঙ্কিমচন্দ্রের সমগ্র সাহিত্য-সাধনায় এই নৃতনের আরতি, এই পাশ্চাত্য রস-রসিকতার আবেগ যে কাব্যস্থষ্টি করিয়াছে, এবং হিন্দুদর্শন ও হিন্দুশাস্ত্রের নূতনতর ব্যাখ্যার মূলে র্তাহার যে ভাবদ্ধৃষ্টির ইঙ্গিত রহিয়াছে, তাহাতেই নব্য বাঙালিয়ানার প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। অথচ বঙ্কিম এ সকলই ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের নামে উৎসর্গ করিয়াছিলেন–নিজে কখনও একদিনের জন্যও ব্রাহ্মণ্য-গৌরব ত্যাগ করেন নাই। রামমোহনের প্রতিভায় বাঙালীত্ব অপেক্ষা আৰ্য্যসংস্কার প্রবল ; বঙ্কিমের আর্য্য-সংস্কার একটা মোহ মাত্র—র্তাহার কবিত্ব ও দেশাত্মবোধের অবলম্বন ; মনে প্রাণে তিনি খাটি বাঙালী । রামমোহন জ্ঞানপন্থী, বঙ্কিমচন্দ্র ভাবতান্ত্রিক ;