পাতা:বিবিধ কথা.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇలిన বিবিধ কথা সন্ধান পাইয়াছিলেন ? শঙ্করের জ্ঞান ও বুদ্ধের প্রেম, এই দুই বিরোধী তত্বের সমন্বয় তিনি কি এই বাঙালী মহাপুরুষের মধ্যে লক্ষ্য করিয়াছিলেন ? এইরূপ সমন্বয় কি সম্ভব ? কিন্তু বিবেকানন্দের নিজের মধ্যে যাহা ফুটিয়া উঠিয়াছিল, তাহাতে উনবিংশ শতাব্দীর মানবধৰ্ম্ম-সমস্যার একটা সমাধানের ইঙ্গিত রহিয়াছে। এ সমস্ত এ যুগেরই ; পাশ্চাত্য জাতির অদম্য ভোগপিপাসা, সেই পিপাসার পৌরুষ, এবং সেই সঙ্গে তাহার পরিণাম-জিজ্ঞাসা হইতেই এ সমস্যার উদ্ভব হইয়াছে। বাঙালীর প্রাণে ইহার সাড়া জাগিয়াছিল, সমস্ত হৃদয় দিয়া সে ইহাকে অনুভব করিয়াছিল—পাশ্চাত্য ভাবনায় ভাবিত হইয়াই সে আপনাকেও ফিরিয়া পাইয়াছে। কারণ, এই ভোগবাদ—মনের এই স্বাধীনতা ও সংশয়ব্যাকুলতা—তাহার নিজের চরিত্রেও বিশেষরূপে বর্তমান। তাই বিবেকানন্দ বেদাস্তের যে ব্যাখ্যা করিলেন তাহাতে মায়াবাদ কৰ্ম্মবাদকে পুষ্ট করিল, জীবব্রহ্মের অভেদ-তত্ত্ব জীবেরই এক নূতন মহিমার প্রমাণ হইয়া দাড়াইল। বিবেকানন্দের চেয়ে শঙ্কর বড়—মনীষায়, বুদ্ধও বড়— তাহার ত্যাগে ও তপস্যায়। কিন্তু বিবেকানন্দ এই উভয় হইতেই স্বতন্ত্র, কারণ বিবেকানন্দ বাঙালী,—ভোগবাদ তাহার অস্থিমজ্জাগত। তিনি জীবনকে ও জগৎকে অস্বীকার করিতে পারেন নাই, স্বষ্টির এই রসমাধুৰ্য্য অপেয় অগ্রাহ মনে করা তাহার পক্ষে কঠিন। বরং, র্তাহার ” মতে, প্রকৃতিকে পুরুষের মতই ভোগ করিতে হইবে ; সেই ভোগ সম্রাটের ইচ্ছার মত আত্ম-ইচ্ছার অধীন হইবে, এবং ভোগে ও ত্যাগে কোনও পার্থক্য থাকিবে না। সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের সন্ন্যাস জীবনযুদ্ধে পরাজয়ের সন্ন্যাস নয় ; অতিশয় বলিষ্ঠ জীবন-ধর্মের জন্য যে