পাতা:বিবিধ কথা.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতি-আধুনিক সমালোচক ও বঙ্কিমচন্দ্র 8ම් আর এক-জাতীয় বলিয়া আর একটা নাম—ওইরূপ ক্লাসিফিকেশন’ করিয়া থাক। শুধু তুমি কেন, কবিগণেরও ঐরূপ একটা সংস্কার তাহাদের বহিঃ-চেতনায় থাকে—কিন্তু স্বষ্টিপ্রেরণার আবেশকালে সে সংস্কার লুপ্ত হয়। তাহার একটা উদাহরণ মধুসূদনের মেঘনাদবধকাব্য’। কবি পরম পাণ্ডিত্যসহকারে সর্ববিধ আয়োজন করিয়া, উপাদান উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়া মহাকাব্য ফাদিলেন ; কিন্তু দেখা গেল, তাহা সেই সংজ্ঞ-অনুযায়ী বস্তু হয় নাই, তাহা মহাকাব্য নয়, গীতিকাব্যও নয়—তাহা একখানি উৎকৃষ্ট কাব্য মাত্র । তাহাই হয়,—এবং না হইলে বুঝিতে হইবে, সেই কবি-প্রেরণাই সত্য নহে। এই জন্য আধুনিক সমালোচকেরা কাব্য-সমালোচনায় এইরূপ মধ্যযুগীয় পদ্ধতি বর্জন করিয়াছেন । ষাহ নিয়তিকুতনিয়মরহিত তাহার সম্বন্ধে কোনও বহির্গত অাদর্শ বা সংজ্ঞা খাড়া করিলে, কাব্য-বিশেষের ধে অনন্তসাধারণত্ব তাহার প্রধান রস-প্রমাণ, তাহাকেই অগ্রাহ করিতে হয় । অতএব পূৰ্ব্ব হইতে একটা নাম খাড়া করিয়া, এবং সেই নামীয় বস্তুর লক্ষণ কি হইবে তাহ নির্দেশ করিয়া, কোনও খাটি রস-রচনাকে বিচার করিতে বসা—সমালোচনা-রীতির এই উন্নতির যুগে শুধুই বেরসিকতা নয়, মৃৰ্থতাও বটে। তোমার কথা কি ? উপন্যাসের প্রতিষ্ঠাভূমি হইবে বাস্তব জীবন ? কথাটার মধ্যে দুইটা মিথ্যা বা মুখতাস্থলভ সংস্কারের প্রমাণ রহিয়াছে। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, রসস্থষ্টির কোনও বাধা-ধরা সংজ্ঞা-নির্দিষ্ট রূপ নাই— উপন্যাস বলিয়া যদি কোনও রচনাকে নির্দেশ করিতে হয়—সে তোমারই নিজের সুবিধার জন্য, তাহার জন্য কবি দায়ী নহেন । তারপর, যদি ‘উপন্যাস’ শব্দটি ব্যবহারই করিতে হয়, তবে সৰ্ব্বকালের সকল রকমের