পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

କv୬. বিবিধ প্রবন্ধ। বঙ্গদেশের উচ্চশ্রেণীর হিন্দুর অবস্থান্তর ও তন্নিরা করণের উপায় । মানবমাত্রই নিজ নিজ অভাব মোচন করিবার নিমিত্ত তদুপযোগী সামগ্ৰী ভোগ করিতে উদ্যত হয় এবং স্ব স্ব সমাজের নিয়মিত ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন করিয়া আপনাকে সমাজস্থ ভাবিয়া কৃতাৰ্থ হইয়া থাকে। জগতের ভিন্ন ভিন্ন লোকের যেমন ভিন্ন ভিন্ন প্ৰয়োজন, সেইরূপ ভিন্ন ভিন্ন সমাজের ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজন বা আবশ্যকতা পরিদৃষ্ট হয়। সেই “প্রয়োজন সাধন করিতে এবং অন্নপ্ৰাশন, বিবাহ শ্ৰাদ্ধাদি যে সকল সামাজিক প্ৰথা দেশবিশেষে প্ৰচলিত আছে, তৎসমুদয়ের অনুসরণে সমাজবিশেষে সকলেই যথাসাধ্য উদ্যম করিয়া থাকে। যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে আকাজক্ষার তৃপ্তিবিধানে এবং সামাজিক ক্রিয়াকলাপের সম্পাদনে সক্ষম, তাহাকেই সকলে ধনী বলেন। যে সমাজে এই জাতীয় লোকের সংখ্যা বদ্ধিত হইতে থাকে, সেই সমাজের শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে বুঝিতে হইবে। এখন আমাদের উচ্চশ্রেণীর হিন্দুদের মধ্যে ক্রিয়াকলাপের অভাব নাই। কিন্তু ক্রিয়াকলাপের সম্পাদনান্তে বাহ আড়ম্বর হেতু ব্যয়াধিক্য বশতঃ অনেকেরই মুখমণ্ডলে নৈরাশ্য ও স্থিমিতভােব পরিদৃশ্যমান। জগতের অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিলে দেখা যাইবে যে, কোন কোন সমাজের ঐ রূপ শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে, আবার কোন কোন সমাজ বিপরীত বিধির অনুবৰ্ত্তন করিয়া একেবারে শ্ৰীহীন হইয়া পড়িতেছে। পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, কোন না কোন নিয়মের অনুসারে সামাজিক শ্ৰীীর হ্রাসবৃদ্ধি হইয়া থাকে। প্ৰত্যেক সমাজেই ভিন্ন ভিন্ন প্ৰকার উদ্যোগী ব্যক্তি) দেখিতে পাওয়া যায় । কেহ কায়িক পরিশ্রম করিতেছে এবং যাহার জন্য পরিশ্রম করিাতেছে, তাহার নিকট তদ্বিনিময়ে কোন সামগ্ৰী, বা সামগ্ৰী দাবী ।