পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশের হিন্দুর অবস্থান্তর উপায়। Sov) পূর্বে উহা ক্ৰয় করিতে অসমর্থ হন, তাহা হইলে তাহাকে বহুমূল্য বস্ত্ৰোত্তরীয় পাদুকা ও বিলাস দ্রব্যে অভ্যন্ত করাইয়া লাভ কি ? এই হঠাৎ পরিবর্তন জানিয়া পরে তাহার অভাব অনুভব করা কি অকারণ দুৰ্ব্বহ ক্লেশভার বৃদ্ধি করা নহে ? “ওঁ সাচ্ছাদনালিস্কৃতায়ৈ কন্যায়ৈ নমঃ” বলিয়া তিনবার অৰ্চনা করিতে হয় বলিয়া কি আচ্ছাদন ও অলঙ্কারের মূল্যের কথা ব্যক্ত আছে ? এক ব্যক্তির সংসারের উপকারকল্পে যে কন্যাদান বিধি প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছে, ইহা কি যথেষ্ট নহে? কারুণ্যের উদয়েই তা দান হইয়া থাকে -এই দানের উপর জুলুম কেন ? একেই তা আমাদের এই হতভাগ্য সমাজে ধনীর সংখ্যা অতীব অল্প, এবং বদ্ধিষ্ণু দুই চারি ঘর গৃহস্থ ব্যতীত দরিদ্রের সংখ্যা সর্বাপেক্ষা অধিক। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই, যখন দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য অল্প ছিল, যখন বেশভূষা ও বাহা আড়ম্বর অপব্যয় মনে করিয়া পূৰ্ব্বেকার গৃহপতি, গৃহপালিত গাভীর দুগ্ধ ও গোলাজাত ধান্যে পরিপোষিত হইয়া নিজ ব্যবসায়ে ভবিষ্যৎ ধনাগমের পন্থা উন্মুক্ত করিয়া রাখিতেন, যখন উৎপন্ন ধনের মিতব্যয়িতা জানিতেন। অর্থাৎ পরিশ্রমলব্ধ ধনের বিনিময়ে এরূপ DB KD BBBBB DDD DDD SL0LDDD BDB DDDDB BDBBDLDDD মূল্য পাওয়া যাইত বা যাহা সম্পত্তি রূপ মূলধনে রূপান্তরিত হইত, তখন সমাজের সেই সচ্ছল অবস্থায় যে সকল আচার ব্যবহার করিয়া লোকে কৃতাৰ্থস্মন্ন্য হইতেন, এথন এই দুর্দিনেও আমরা ততোধিক ব্যয় করিতে একপ্রকার কৃতসঙ্কল্প ! সমাজের এখনকার ভ্রান্ত নিয়মগুলি বিমূঢ়োর ন্যায় অনু বৰ্ত্তন করিবার আমাদের এই সিদ্ধান্ত যে জ্বলন্তবহি শিখায় পতনোন্মুখ পতঙ্গের সিদ্ধান্তের অনুরূপ অথবা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য বালকের কাৰ্য্যপরম্পরার সমতুল্য, তাহাতে বোধ হয় কোন সন্দেহই থাকিতে পারে না । ”