পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d R o বিবিধ প্ৰবন্ধ । সামগ্রীর মূল্য অপেক্ষা সৌখীন দ্রব্যের মূল্য অনেক অধিক তথাপি সময় বিশেষে সৌখীন দ্রব্যের অধিক প্ৰচলন দেখা যায়। এই সকল সৌখীন দ্রব্য অষ্ট প্রহর ব্যবহার করিলে সময় বিশেষে উহার অধিক ব্যবহার পাওয়া যায় না । সেই জন্য উহা অধিক বার ক্ৰয় করিতে হইলে ধন নাশ হয়। আবশ্যক দ্রব্যাদি পুনরায় ক্ৰয় না করিয়া প্ৰয়োজন মত উহা যত অধিক ব্যবহার করিতে পারা যায় ততই কম। ধননাশ হইয়া থাকে। কেহ কেহ বলেন, যাহদের অধিক ধন আছে, তাহারা প্ৰয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণে তাহা ভোগ না করিলে, বা তাহদের বিলাসিত বৰ্দ্ধিত না হইলে উৎপাদক বা প্ৰস্তুতিকারকের ধনাগম হয় না। ব্যবসায়ীরা ও সেই জন্য ধনী খরিদারকে যত অধিক মাল বিক্রয় করিতে পারে, তাহারই চেষ্টা করে এবং ধনীরাও নানাবিধ দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করিয়া সুখানুভব করেন। ধনীর ধন। কিন্তু কখনও বসিয়া থাকে না । মাটীতে কলসী করিয়া মোহর পুতিয়া রাখিলেও মোহরের টান বাড়িয়া যায় ; সেই জন্য উহার মূল্যও বৃদ্ধি পায়। র্যাহারা দ্রব্যাদি ক্রয় না করিয়া টাকা বাড়িবে বলিয়া কোম্পানীর কাগজ খরিদ করেন, তঁাহাদেরও টাকাতে দেশে ধনাগম হয়। রাজা সেই টাকা ধার করিয়া রেল, খাল, রাস্তা প্ৰভৃতির বিস্তার বা বড় বড় কুঠী নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন, তাহাতে নানা স্থানের দ্রব্যাদি বিদেশে নীত হইয়া স্থানজনিত মূল্যযুক্ত হয়, অথবা এঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার কুলি ইত্যাদি বহু লোকের অন্ন-সংস্থান হইয়া থাকে। লোকে ব্যাঙ্কে টাকা ख्भ ८व्ग७ दJश् 3. টাকায় মহাজনী করে এবং কাৰ্য্যক্ষম ব্যক্তিরা উহা ধার করিয়া দেশের ধনোৎপাদন করে ; অতএব উৎপাদিত ধন যে ভাবেই ব্যবহার করা হউক না কেন, উহাতে কোন না কোন ব্যক্তির উপকার হইয়া থাকে ।*

  • গ্ৰন্থকারের ”ধনবিজ্ঞান” নামক পুস্তকে ”ব্যাঙ্কিং ও মহাজনী” শীর্ষক প্ৰবন্ধ দ্রষ্টব্য।