পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্ৰবন্ধ । 8رع ، • অধুনা অভাব দূর করিবার নিমিত্ত অনেক জাতি লোকবৃদ্ধির পক্ষপাতী নহেন । ১৮১৫ খৃষ্টাব্দের পর হইতে ফরাশী দেশ অর্থশূন্য হয় ; সেই সময় ইত্যর ভদ্র সকল শ্রেণীর লোকের দুৰ্দশার আর সীমা ছিল না । একে দেশের সর্ব এ দারিদ্র্য, তাহার উপর যদি লোকবৃদ্ধি হয়, তাহা হইলে সেই দরিদ্রতা গভীরতর হইবে ; তাই ফরাশীরা লোকবৃদ্ধি নিরুদ্ধ করিতে মনস্ত করিল এবং প্রত্যেক ব্যক্তির যাহাতে দুই তিনটীর অধিক সন্তান না জন্মে, তন্নিমিত্ত সকলকে উদ্যোগী হইতে কহিল । দুই তিনটার অধিক সন্তান হইলেই উৎপাদিত ধনের ভাগিদার অনেক হইবে এবং কাহার ও ভোগবাসন পরিতৃপ্ত না হইয়া সকলেই তুৰ্দশাগ্ৰস্ত হইবে । ফরাশী মাত্ৰই তাহা বুঝিতে পারিল, বুঝিায়। তােহ| অবলম্বন করিতে উদ্যত হইল । সেই দিন হইতে ফরাণীদের অভাব ও দারিদ্র্য দূর হইয়াছে এবং তাহারা সুখ স্বাচ্ছন্দো বসবাস করিতেছে । ভারতবর্ষে বিবাহ-প্ৰথা কখনই রহিত হয় নাই, ——হইবেও না । পিতৃঋণের শোধ ও পিণ্ডদানের নিমিত্ত পুত্রের আবশ্যকতা হিন্দুমাত্রই অনুভব করিয়া থাকেন। “পুত্রার্থে ক্ৰিয়তে ভাৰ্য্যা পুত্ৰপিণ্ড-প্রয়োজনং” একটা প্ৰসিদ্ধ শাস্ত্রবচন । যৎকালে এই বচন বিধিবদ্ধ হইয়াছিল, তখন সৃবিশাল ভারত ভূমি ধন ধান্যে পরিপূর্ণা, অথচ লোকসংখ্যা কম ছিল, এবং জীবন-সংগ্রামের কোন প্ৰখৰ্য্যই ছিল না ; ভারতের সেই অবস্থায় লোক সংখ্যা বৃদ্ধি একটা শ্ৰেষ্ঠ প্রয়োজন বলিয়া বিবেচিত হইয়াছিল । কিন্তু আজিকার এই অতিরিক্ত লোক সংখ্যার অনুপাতে অল্প পনােৎপাদন ও তজ্জন্য দুঃখদারিদ্র্যের বিভীষিকা দর্শন করিলে তাহারা বোধ হয়। পূৰ্ব্বোক্ত বিধান-খণ্ডনের ব্যবস্থা করিয়া যাইতেন । এই নিয়মের বশীভূত হইয়া যাহার কেবল কন্যা সন্তান হইয়াছে, অথবা যাহার স্ত্রী বন্ধ্যা, তাহাকেও বংশরক্ষার নিমিত্ত অপর দার