পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনভোগ । ᎩᏬᏊ পরিগ্ৰহ করিতে হয় । যদি চরিত্র-রক্ষার নিমিত্তই শাস্ত্রকারগণ ভাৰ্য্যাগ্ৰহণের বিধান করিতেন, তাহা হইলে বন্ধ্যা স্ত্রী থাকিতে কেহ অপর দারি পরিগ্ৰহ করিত না । ভারতবর্ষে হিন্দুর পৈত্রিক সম্পত্তিতে সকল পুত্রের অংশ বৰ্ত্তে । বঙ্গদেশে যদিও পিতা ইচ্ছা করিলে পুত্ৰকে না দিয়া অপরকে সম্পত্তি দিতে পারেন, তথাপি পুত্ৰকে বঞ্চিত হইতে সচরাচর দেখা যায় না । এই নিয়মে সকল পুত্ৰই অংশীদার হয় বলিয়া পৈত্রিক গৃহ বা জমি সমস্তই ক্ৰমশঃ লোক প্রতি অল্প অল্প পরিমাণে বণ্টিত হয় এবং ঐ সকল লোক তখন আর পূব্বের মত দ্রব্যসামগ্ৰী ভোগ করিতে পারে না । পণ্ডিত ম্যালথাস লোকজনের সুখ স্বচ্ছন্দতা অক্ষুঃ রাখিবার নিমিত্ত দেশ বিশেষের আহারীয় দ্রব্যের পরিমাণের সহিত তত্ৰত্য লোকসংখ্যার সম্বন্ধ নিণয় করিয়া যে মতের প্রচার করিয়া গিয়াছেন, অধুনা তাহাই অনেক দেশে অনুমোদিত হইতেছে । ভোগব{সনা-নিৰ্ব্বত্তির কথা কিন্তু অন্য দেশে বড় একটা শুনিতে পাওয়া যায় না । যাহার যে অবস্তায়, যে দেশে, যে সময়ে, যে দ্রব্য ভোগ করা বিলাসিত বলিয়া বিবেচিত হয়, তাহার সেই দ্রব্যে ভোগ বাসনার নিবৃত্তি হইলেই দেশের অনেক অর্থের সদ্ব্যবহার হয়, এ কথা। পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে। বিলাস সাম গ্রীর ভোগবাসনার নিবৃত্তি হইলেও তােহা কোন না কোন উপায়ে অপরের উপকারে ব্যয়িত হইতে পারে । ধনী ব্যক্তিদের বিলাস-বাসনা প্ৰায় একজাতীয় । তাহদের ভোগবাসনার পরিতৃপ্তির জন্য কয়েকটা মাত্র ব্যক্তির উপকার হয় । কিন্তু তাহদের ধনের সাহায্যে বিবিধ প্রকার সৎকাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করিয়া। বহু উপায়ে নানা জাতীয় লোকের উপকার করা যাইতে পারে। দরিদ্র ব্যক্তির বিলাস-বাসনার নিবৃত্তি হইলে তাহার দেহ ও চিত্তের অবস্তার পরিবাৰ্ত্তন হইয়া থাকে । ফলতঃ প্ৰাণপণে ধনোৎপাদনা করিয়া যদি বিলাসভোগবাসনার নিবৃত্তি ও মৃত্যুর