পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাস, পাঠ । যে সময়ে পাশ্চাত্য জগতের অনেক স্থানে ধৰ্ম্মের সামান্য নিদর্শনও দেখা যায় নাই ; সাহিত্য-বিজ্ঞানের অতি ক্ষীণ জ্যোতিঃও প্ৰবেশলাভ করে। নাই ; অজ্ঞানের নিবিড় অন্ধকারে, স্বার্থের অবিচারিত তৃপ্তিবিধানে, পাশবীি প্ৰবৃত্তির আবিল তরঙ্গে অঙ্গ ভাসাইয়া যখন তাহারা পরস্পরের হৃদয়শোণিত-পানে প্ৰবৃত্ত ছিল, পবিত্ৰ ভারতভুমি তখন পুণ্যশ্লোক বীরগণের অমর-লীলায় যেন সমগ্র জগতের শ্রেষ্ঠত্ব ধারণ করিয়া সুমেরুর ন্যায় বিরাজ করিত। তখন ভারতের যোদ্ধা জিগীষাপ্রণোদিত হইয়া চতুরঙ্গিণী সেনা সহ অভিযানোদেশে সুদূর - দেশে আপতিত হইতেন ;-ভারতীয় আৰ্য নৃপতি, ত্রয়ী বিদ্যায় পারদশী হইয়া শাশ্বতী দণ্ডনীতির অনুসরণপূর্বক প্রজার মঙ্গলাভিপ্ৰায়ে বিহিত উপায়ে রাজধৰ্ম্ম পালন করিতেন ; ভারতের ব্রাহ্মণ ব্ৰহ্মবিদ্যায় বিশারদ তইয়া সৰ্ব্বভূতের মঙ্গলার্থ সংযতচিত্তে যথাবিহিত আশ্ৰমধৰ্ম্ম-পালনে নিরত থাকিতেন ! কিন্তু এই অধঃপতিত ভারতে অতীত গৌরবের ভস্মবাশির উপর বসিয়া আজি আমরা যে, তাহার আলোচনা করিতেছি,তাহার উদ্দেশ্য আর কিছুই নহে, এই উপায়ে আমরা মনােবৃত্তিনিচয়কে দমিত ও নিসন্ত্রিত করিয়া ক্ৰমে ক্ৰমে উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে পারিব। এই সুবিশাল মানব-সমাজ ভিন্ন ভিন্ন মানব মাত্রের কাৰ্য্যপরম্পরার ফলসমষ্টি ভিন্ন আর কিছুই নহে। কোন কোন কাৰ্য্য কিরূপ অনুলোম ও বিলোম প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হইয়া কাশি ফল প্রসব করিবে, এবং সেই ফল মানব-সমাজের উপর কিরূপ শক্তি নিষিক্ত করিবে, ইতিহাস তৎসমুদায় ব্যাপার বিশ্লেষিত করিয়া স্পষ্ট দেখাইয়া দেয়। সমাজ-শরীর কিরূপে স্ফরিত হয়, কোন কোন বিষয় ইহার স্ফৰ্ত্তিলাভে সহায়তা করে, কিরূপে সভ্যতার সূচনা, উন্নতি ও পরিণতি ঘটে, বাহ ও অন্তর্জগতের কোন কোন ধৰ্ম্ম ইহার প্রধান সম্পায় ; কি উপায়ে কোন কোন সমাজের উন্নতি # শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে এবং বিপরীত বিধিব অনুবাির্কন করিষা কোন