পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*फ्रेम। S) অথবা যে কাৰ্য্য ধৰ্ম্ম-সঞ্চায়ের পরিপন্থি, হিন্দু সেরূপ কাৰ্য্যে কিছুতেই হস্তার্পণ করেন না । যে জাতির দৈনন্দিন অতি সামান্য কাৰ্য্যও ধৰ্ম্মের সহিত বিজড়িত, সে জাতি পৰ্য্যটনের ন্যায় একটী গুরুতর ব্যাপার ধৰ্ম্মের সংস্রব হইতে বঞ্চিত করিতে পারে না ; সেইজন্য তীর্থ দর্শন একটী প্রধান কৰ্ত্তব্য ও শ্রেষ্ঠ লক্ষণ বলিয়া ধৰ্ম্মশাস্ত্রে নির্দিষ্ট হইয়াছে। হিন্দু মাত্ৰকেই তীৰ্থ দৰ্শন করিতেই হইবে, এবং তীর্থ দর্শন করিতে হইলে তাহাকে নানাস্থানে পৰ্যটন করিতে হইবে, কারণ হিন্দুর তীর্থ এক স্থানে নহে। দুৰ্গম গিরিগহনে, দুরারোহ পৰ্ব্বতে, দুস্তর মরুপ্রান্তরে, দুর্ভেদ্য মহারণ্যে, দুঃসহ হিমানী মধ্যে,-হিন্দুর তীৰ্থস্থান। পৃথিবী যেমন বিপুল, হিন্দুর ভগবান সেইরূপ পৃথিবীর সর্বত্রই বিরাজমান। সেই সৰ্ব্বব্যাপী ঈশ্বরের মহিমা অবলোকন ও প্রচার করিবার নিমিত্ত আৰ্য্য ঋষিগণ সমগ্ৰ বিশ্বের আদর্শস্থানীয় ভারতবর্ষের শান্ত ও দুরন্ত স্থান সমুদয়ে নানাবিধ তীর্থস্থানের সৃষ্টি করিয়া রাখিয়াছেন । সেই সকল তীর্থস্থানে ভ্ৰমণ করিলে ধৰ্ম্মভাবের স্মৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে নানাদেশ ও দৃশ্য দর্শন, জন্য বিবিধ বিষয়ে লোকের অভিজ্ঞতা-লাভ হইয়া থাকে । তীর্থদর্শন ভিন্ন অন্য অভিপ্ৰায়-সাধনের উদ্দেশ্যে পুরাকালে হিন্দুগণ যে, দেশ ভ্ৰমণ করিতেন, তাহার সুস্পষ্ট প্রমাণ বিরল নহে। অনেক প্ৰাচীন ঋষি ও রাজা ভারতবর্ষ ত্যাগ করিয়া দূরদেশে গমন করিতেন। :-রামায়ণ মহাভারতাদি প্রাচীন গ্রন্থে তাহার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত দেখা যায়। বৌদ্ধ ও তান্ত্রিকগণ ধৰ্ম্মপ্রচার করিবার নিমিত্ত পূর্বকালে, জগতের নানা দেশে প্রবিষ্ট হইতেন ; তাহাতে র্তাহাদের ‘ cलभ अभsi७ कब्र श्ड । “ন দেবায় ন ধৰ্ম্মায়” ব্যয় আমাদের সমাজনুমোদিত নহে, এজন্য তীর্থস্থানে ভারতবর্ষের বহুবিধ লোকের সমাগম অপব্যয় বলিয়া