পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংসগণ । 8૭ অগ্রসর হইতেছে। বিদ্বান। অথচ অসচ্চরিত্রের চরিত্র-হীনতা উপেক্ষা করিয়া কেবল তাহার বিদ্যা গ্ৰহণ করিতেছে । কেহ বা মহাভারত শুনিয়া জ্ঞান, শৌৰ্য্যবীৰ্য্য, সহিষ্ণুতা, সাধুতা, “যতোধৰ্ম্মস্ততোজয়ঃ", ইত্যাদি শিক্ষা করিতেছে ; কেহ বা আত্মীয় দুঃখে কাতরতা, লোভশূন্যতা, দয়া দাক্ষিণ্য, সুচ্যগ্ৰ ভূমিদান, ইত্যাদি সংসারের কাম্য সুখের কণ্টক বলিয়া বিবেচনা করিতেছে । যে ব্যক্তি বাল্যাবধি সাধুসঙ্গপ্রিয় এবং শেষে ধৰ্ম্মপ্ৰাণ হয়েন, লোকে তঁহাকে ভগবৎপ্রেরিত আদর্শ পুরুষ বলিয়া থাকে। কিন্তু এ জাতীয় ব্যক্তির প্রাদুর্ভাব সংসারের পক্ষে কতদূর মঙ্গলময় তাহা বিচারাধীন। নিজ সংসার ও পরিচিত গণ্ডির মধ্যে সাধুসঙ্গ লাভ করা কিছুমাত্র কঠিন নহে। এ জগতে অসাধু প্ৰকৃতি লইয়া কেহই জন্মগ্ৰহণ করে নাই। যদি কেহ প্ৰতিবাদ করেন, তাহাকে অকাট্য প্ৰমাণ দর্শাইতে হইবে। নিজ সংসার ও পরিচিত গণ্ডির মধ্যে কি সাধু-সংসর্গ দুর্লভ ? বালকে কি সারল্য, বালকতা, সত্য এবং অকপট উক্তি দেখিতে পাওয়া যায় না ? বন্ধু বা কোন না কোন আত্মীয়ের নিকট কি উদারতা, আতিথেয়তা, সৎসাহস, আত্ম-বলিদান, পার্থক্য-হীনতা, “দেখিতে পাওয়া যায় না ? নিজের বা পরের নিকটও কি কোন একটী সদগুণ নাই ; আমরা যদি বালক বালিকা, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, অভ্যাগত অতিথি, শত্ৰু, মিত্র, ভূত্য, গুরু, পুরোহিত, আচাৰ্য্য ইত্যাদি ‘প্ৰত্যেকের বিশিষ্ট বিশিষ্ট সদগুণাদির সমষ্টি করিয়া, এই সমষ্টির অনুকরণ করি বা সংসৰ্গ লাভ করি, তাহা হইলে কি আমরা সাধুজন মধ্যে পরিগণিত হইতে পারি না ? বংশগত দোষের যদি এতই প্ৰভাব, তাহা । হইলে জগতে ধৰ্ম্মবীর, কৰ্ম্মবীর, সাহিত্য বীর ইত্যাদির প্রভাব হইত। না। প্ৰহলাদের পিতা হিরণ্যকশিপু অবশ্য কল্পিত কথা, কিন্তু ব্যাসের পিতা যে ব্যাসের মত নহে, বুদ্ধদেবের পিতা যে শাক্য জাতির একজন