পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংসগ। এ 86 হওয়ার দোষ গুণ বিচার করিতে অসমর্থ। এই উভয়বিধ ব্যক্তির সমগ্ৰ গুণের সংসৰ্গ, জীবনসংগ্রামে প্রতিষ্ঠালাভেচ্ছ ব্যক্তির পরিহার করা নিতান্ত যুক্তিসঙ্গত। প্রথম শ্রেণীর লোকের নিকট নিজ গুণের সমালোচনা হওয়া অসম্ভব। শিক্ষিতের, বৈজ্ঞানিকের, সাহিত্যসেবীর দোষ গুণের বিচার না হইলে দোষের ভাগ সজেক্ষপিত হইয়া গুণের ভাগ বদ্ধিত হয় না । এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর কপট ধাৰ্ম্মিক, শিক্ষিত বিনয়ী, স্বার্থ সাধনে দানশীল, র্যাহারা কোন নিৰ্দ্ধারিত নিয়মের বশবৰ্ত্তী নহেন, র্যাহারা অন্য যে গুণের আদর করিতেছেন কল্য প্রয়োজন হইলে তাহার নিন্দা করিতেছেন, র্যাহারা রিক্তহস্ত অবস্থায় দান করিতে অক্ষম বলিয়া প্ৰকাশ্যে দুঃখ প্ৰকাশ করেন এবং অবস্থাপন্ন হইলে, দরিদ্রের আৰ্ত্তিনাদে কৰ্ণপাত করেন না, তাহদের অপকৃষ্ট গুণের সংসর্গে স্বার্থাঙ্ক ও কপট হইতে হয়, চক্ষু থাকিলেও দৃষ্টিহীন হইতে হয়, সৎসাহসে জলাঞ্জলি দিতে হয়, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ত্যাগ করিয়া বিবেকের বাণী ও সারল্য ভুলিয়া গিয়া দেশ, কলও পাত্ৰ বিশেষরূপ সীমার মধ্যে কারাবাসী হইতে হয়। এসংসারে একাধারে সমস্ত সদগুণ পরিলক্ষিত হয় না, এবং ংসারীর যে সকল গুণ আবশ্যক, তাহারও সুসংখ্যা করা যায় না । প্রবাদ কথামত হংসের স্থায় দুগ্ধের ক্ষীর ভাগ গ্ৰহণ করিয়া জলভাগ ত্যাগ করিতে হইবে। এ সংসারনাট্যশালায় কতবার যে পাঁটপরিবর্তন হইতেছে, তাহার গণনা করা যায় না। কখন মানব সুবৰ্ণ হরিণ-শিশুর ন্যায় রামের মত দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞের হৃদয় ও চঞ্চল করিয়া দিতেছে, কত শত রমণী রূপলাবণ্যপ্ৰভা ও চিত্তহারিকটাক্ষপাতে সদ্যোমথিত নবনীতবৎ সুকোমল চিত্তকে দ্রবীভূত করিয়া আপনার কঠিন আধারে আকর্ষণ পূর্বক আধার বৎ গঠন দিতেছে—ক’ত শত সূক্ষ্মদৰ্শী তাকিক তর্ক-প্ৰপঞ্চে সারল্যের সুযোগ অন্বেষণ করিয়া আপন দলপুণ্ঠ । করিতেছে-কত শত একদেশদর্শী পল্লবগ্রাহী কোন সাহিত্য বা