পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

08 বিবিধ প্ৰবন্ধ । দুর্লভ। এই অমিয় গুণে বিভূষিত হইয়া মানব-মন সুধারসে আপ্নত হয় এবং তাহার সংসর্গে যাহারা আইসেন, র্তাহারাও সুধাস্বাদ করিয়া কৃতাৰ্থস্মন্য হয়েন। কিন্তু যে সৌজন্য ব্যক্তি নির্বিশেষে দেখিতে পাওয়া যায়, যে সৌজন্যগুণে গুরুজন ও বৃদ্ধি, সমান অবস্থার ব্যক্তি ও নীচজন সকলেই প্রীত হইতে পারেন, তাহারও অভাব পরিদৃশ্যমান হয় কেন ? দেশ কাল পাত্র বিশেষে যে সৌজন্য প্রথা প্রবর্তিত আছে, সে বিষয়ের অনবধানত বশতঃই সংসারে কত লোকের মনে যে কত কষ্ট হয়, এবং তাহার যে কি বিষময় ফল, এক এক সময় অনুভব করিতে হয়, তাহা হৃদয়িক ব্যক্তি মাত্রেই অবগত আছেন। রাষ্ট্র মধ্যে যেমন রাজা রক্ষা করিয়া থাকেন ও প্ৰজা তাহার বাধ্য হয়, সভ্য সমাজেও সেইরূপ পরস্পর পরস্পরের প্রতি সৌজন্য দেখাইয়া থাকেন, এবং পরম্পরের জন্য কিছু কিছু ত্যাগ-স্বীকার করিয়া থাকেন। মহানগরীর রাজপথে যখন যাতায়াতে লোকে লোকারণ্য হয়, তখন মনে হয় বুঝি কেহই পথ করিয়া গন্তব্য স্থানে যাইতে পরিবে না ; কিন্তু সকলেই চলিয়া যান । যিনি যেভাবে ইচ্ছা, যদি সেই ভাবে তিনি যাইতে ইচ্ছা করেন, তাহা হইলেই বাধা আসিয়া উপস্থিত হয়, একের সহিত অপরের সংঘর্ষণ অনিবাৰ্য্য হয় এবং অচিরে পথ বদ্ধ হইয়া যায়। পরস্পরের কিছু কিছু ত্যাগ স্বীকারে কিন্তু সেরূপ কিছু ঘটতে পায় না। ভিড় দেখিলে যাহার কোমরে হাত ছিল তিনি উহা ঝুলাইয়া রাখেন, যাহার মাথায় ছাতি তিনি উহা মুড়িয়া ফেলেন এবং যিনি সোজা হইয়া চলিতে ছিলেন তিনি একটু কান্ত হইয়া পাশ দিয়া চলিয়া যান। এইরূপে অপরিচিতের মধ্যে প্ৰত্যহ ত্যাগ-স্বীকার করিতে শিক্ষা করিয়াও আমরা অনেক সময় উহার অভাবে পরিচিত গণ্ডির মধ্যে হাস্যাম্পদ হইয়া থাকি। 乳 নিজ স্বাৰ্থসিদ্ধির নিমিত্ত উপরিতন ব্যক্তির প্রতি সৌজন্য প্ৰকাশ