পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

曝 বিবিধ প্ৰবন্ধ। ص۰۹ বা সভাসমিতিতে দুই তিন পুরুষ হইতে কাটা কাপড়ের প্রচলন বন্ধभूल श्हेब्राCछ । কঁাসা পিতলের বাসনের প্রচলন এখনও আছে, তথাপি এনামেলের বাসন প্ৰায় অৰ্দ্ধেক স্থল অধিকার করিয়া লইয়াছে। একটী পিতলের গেলাস যত দিন চলে, চারিটী এনামেলের গ্ল্যাস সে সময়ে ভাঙ্গিয়া, যায়, কিন্তু পিতলের গ্ল্যাস ভাঙ্গিলেও উহা পিতলের দরে বিক্রীত হয়। অথচ এনামেলের গ্ল্যাস অব্যবহাৰ্য্য হইলে তদ্বিনিময়ে কিছুই পাওয়া যায় না। এই প্রকারে যে কেবল কঁসারীর আয় কমিতেছে। এরূপ নহে, যে সকল দরিদ্র শ্রমজীবী এনামেলের গেলাস ক্রয় করিতেছে, তাহাদের ও মোটের উপর ধননাশ হইতেছে। বাঙ্গালী কামার আজ ‘কাল আর সকল পল্লীতে দেখিতে পাওয়া BDSBYSSeBB iBBSLDuDBTYYukeuSTBBBTS LS DBB প্রভৃতির জন্য প্ৰসিদ্ধ ছিল। এখন বাঙ্গালার বিশেষ বিশেষ স্থান হইতে নূতন দা অথবা বঁটী আমদানি হয়। দুর্গাপূজার সময় বলী দিতে কামার আবশ্যক হয়, কিন্তু দুর্গাপূজার ব্যয় প্রায় সঙ্কীর্ণ হইয়া আসিতেছে। ভাল ছুরি কঁাচি ও ঢালাই কড়া ভারতের বাহির হইতে আসে এবং পেটা কড়া বেহার অঞ্চলে অল্প মজুরিতে প্ৰস্তুত হয়। পল্লীগ্রামেও স্বর্ণকারের আবশ্যকতা এখনও অনুভূত হয় ; হিন্দু গৃহে কন্যার জন্ম হইলেই স্বর্ণকার আবশ্যক। সহরে উহাদের উপযোগিতা বৃদ্ধি পাইলেও উহাদের সংখ্যা মোটের উপরে হ্রাস পাইতেছে। কারণ যাহারা অতিশয় দক্ষ ও কৃতকৰ্ম্ম তাহারাই সহরে আসিয়া অধিক নৈপুণ্য ও শ্রমসামর্থ্য দেখাইতে পাইতেছে এবং পূর্বাপেক্ষা অধিকতর উপার্জন করিতেছে ; কিন্তু পূর্বে পল্লীতে যে কয়ঘর স্বর্ণকার ছিল, এখন তাহার তুলনায় কিছুই নাই বলিলেই হয় । - কাঠের সিন্ধুকের পরিবর্তে এখন লোহার ট্রাঙ্কের ব্যবহার প্রচলিত