পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (প্রথম খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাণিজ্য yo Me হাহাকাব্য কবিতেছি, উহা প্ৰতি গৃহে, ক্রমে প্ৰতি সংসাবে, ক্রমে প্ৰতি সমাজে, ক্রমে সমগ্ৰ দেশে বোধহয় অনুভূত হইত না। স্বাৰ্থপৰতাব বিষময় ফল আদূবদশিত, অভদ্রতা ও অনভিন্নতা। दाख्थेिं ! বাণিজ্য বলিলে বণিকেৰ বৃত্তি বুঝাষ, এবং একদেশেব প্রয়োজন অপেক্ষা অতিবিক্ত উৎপন্ন ও প্রস্তুত সামগ্ৰী, অষ্ঠদেশে বিক্রয় কব বণিকেব বৃত্তি। যে দেশে, যে সময়ে, যে সামগ্ৰীব, যেরূপ অভাব অনুভূত হয়, বণিকেবা সেই দেশে, সেই সময়ে, সেই সামগ্ৰী বিক্ৰয কবিতে থাকেন বলিয়া লাভবান হয়েন। অতএব প্ৰথমে মনে হয়, অভাব-নিবাবণ কাবাই বাণিজ্যেৰ মূল উদ্দেশ্য। বাস্তবিক পক্ষে এই স্বাৰ্থপব জগতে স্বাৰ্থ না থাকিলে বণিক অভাব মোচনে অগ্রসব হয়েন না। বাণিজ্য রূপ কষ্টি পাথকেব। দ্বােব দ্রব্য সামগ্ৰী উৎপন্ন করা উচিত কি না, অর্থাৎ উহা উৎপন্ন বা প্ৰস্তুত কবিলে মূল্যবান পণ্য বলিয়া বিক্রয়-যোগ্য বিবেচিত হইবে কিনা,ইহা স্থির হইলে, লোকে ঐ সকল সামগ্ৰী উৎপন্ন বা প্রস্তুত কবিয়া থাকে। অতএব এক হিসাবে বলা যাইতে পাবে যে, বাণিজ্যের দ্বারা জগতেব অভাব মোচন হয। এ কাবণে যেমন ক্রেতাবা, সেইরূপ উৎপাদক ও প্ৰস্তুতিকাবকেবাও, বণিকেৰ সাহায্য গ্ৰহণ কবিতে ইচ্ছা! কবে । এই শেষোক্ত ব্যক্তিদিগকে যদি সামগ্ৰী উৎপন্ন বা প্ৰস্তুত কবিতে হইত এবং আপনি আপন পণ্যের ক্রেতা অনুসন্ধান কবিতে হইত, তাহা হইলে জগতে এত অধিক সামগ্ৰী উৎপন্ন বা প্ৰস্তুত তইত না । নিজেদেব ব্যবহারান্তে যে অপেক্ষাকৃত অনাবশ্যক সামগ্ৰী উদ্ধৃত্ত্বি থাকে তাহারই সহিত অন্যদেশেৰ অপেক্ষাকৃত আবশ্যক বা উপযোগী সামগ্রীব