পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (প্রথম খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बtख्म्लिा । or বৃদ্ধি কবিতে কবিতে ঐ সকল সামগ্ৰীৰ বিনিময়-ব্যবসায়ে যাহাবা লিপ্ত আছে তাহাদিগকেও ও ধনী ক্ষঙ্গিম্ভেছে । কেবল যে তাহাদিগকে ধনী কবি তৈছে এরূপ মহে, অনেক দুৰ্ভিক্ষ প্ৰপীড়িত স্থানে যাহারা ক্রয় করিতে সমর্থ, তাহাদিগকে অন্ন দিয়াছে ও যাহাবা ক্রয় কৰিতে অসমর্থ তাহাদিগকেও চাদার অর্থে অল্প প্ৰদান কবিয়াছে * অবশ্য, বাণিজ্য ব্যাপাবে নিঃস্বাৰ্থ পরোপকারিতা দৃষ্ট হইতে পারে না। কারণ, বিনিময়সভূত ব্যাপারে কিছু না পাইলে কিছুই দেওয়া হয় না। কিন্তু, কিছু দিয়াণ্ড অনেক সময় কিছু পাওয়া যায় না। অর্থেব বিনিময়ে আমবা অন্য সামগ্ৰী লাভ কবিয়া হাকি বলিয়া অনেকেব মনে ধাৰণা যে সামগ্ৰী ক্রয় করিলে অর্থনাশ হয়। কিন্তু সামগ্ৰী ক্রয় কবিয়া মূল্য নিৰ্দ্ধাবণেব নিমিত্ত আমরা অর্থ দিযা থাকি, একথা অনেকেই ভুলিয়া যান । আমবা ত অৰ্থ অনায়াসে পাই না , হয় মানসিক, না হয়। কায়িক পবিশ্ৰম করিয়া আমবা অর্থ পাই । আমবা যদি বলি যে, কায়িক বা মানসিক পবিশ্রামেব পবিবৰ্ত্তে অর্থনা লইয়া, চাউল, ডাইল, স্থত, বস্ত্ৰ, ইন্ধন, লবণ ইত্যাদি। লাইব, তাহা হইলে বুঝিতে হইবে যে, স্বকায়িক বা, মানসিক পবিশ্রমের বিনিময়ে আমবা এগুলি লাভ কবিব ! সেই কারণে ঘলা যাইতে পায়ে যে, কায়িক পরিশ্রমেঘ বলে আমরা যে সকল সামগ্ৰী উৎপন্ন বা প্ৰস্তুত কবি, অখিবা মানসিক পরিশ্রমেব বলে। আমরা যেরূপ অৰ্থ বা অন্য দ্রব্য পাইবাবা অধিকাব লাভ করি, তাহারই বিনিময়ে আমরা স্বদেশ বা বিদেশ জাত সামগ্ৰী লাভ কুবিবাৰ শক্তি লাভ করি। অতএব আমরা যদি পূৰ্ব্বাপেক্ষা বিদেশ হইতে ’অধিক সামগ্ৰী আমদানী করি, অথবা স্বদেশ হইতে অধিক সামগ্ৰী বস্তানি করি, দুর্ভিক্ষেয় সময় বণিকেরা অনেক টাকা চাঁদা দিয়া থাকেন। S