হরিশচন্দ্ৰ । SG) মুনিবার তঁহাকে আগমন কাবণ জ্ঞাপন কবিলেন। রাজা হবিশচন্দ্ৰ প্রার্থকর প্রার্থনাপুরাণ, পবের উপকারসাধন, আর্জের দুঃখনিবারণ ইত্যাদি তাহাব নিত্যকৰ্ম্ম বলিয়া নিবেদন করিলেন এবং তিনি যে একজন প্ৰসিদ্ধ দাতা তাহাও এরূপ ভাবে ব্যাক্ত কবিলেন যে তাহাতে তাহাব বজোগুণেব প্ৰকাশ পাইতে লাগিল। ইহা সমর্থনা করিতে তিনি আরও এরূপ ভাব জানাইলেন যে মুনিবব যে কোন ধনসম্পতি প্রার্থনা কবিবেন, বাজা তাহাকে তৎসমস্ত দিবেন। ত্রিকালজ্ঞ বিশ্বামিত্ৰ ঐহিক সম্পত্তিবী নশ্ববত্বে মহাবাজেব দৃষ্টিহীনতা অনুভব কবিয়া এবং মহাবাজ দান পুণ্য কবেন ও সেই নিমিত্ত অহঙ্কাব কবেন জানিয়া, বাজাকে বলিলেন যে, “আমি যাহা প্রার্থনা করিব অঙ্গীকাব্য করুণ তাহাই আমাকে দিবেন।” বাজা স্বীকৃত হইলেন। এইরূপে বাজাকে অঙ্গীকৃত কাবাইয়া তিনি সসাগবী রাজ্য প্রার্থনা কবিলেন, এবং বাজাও সমস্ত রাজ্য মুনিববকে দান কবিলেন। তখন বিশ্বামিত্ৰ কহিলেন “ বাজনা যদি সমগ্র বাজ্য দান কবিলেন, তবে এখন ইহাব দক্ষিণ স্বরূপ সাত কোটি সুবৰ্ণ মুদ্রা প্ৰদান করুন।” মহাবাজ ভাণ্ডারীব প্ৰতি সাত কোটি সুবর্ণমুদ্রা দিবাব আজ্ঞা কবিলেন। বিশ্বামিত্ৰ বলিলেন “আমাকে অগ্ৰে সমস্ত বাজ্য দান কবিয়াছেন এখন আপনাব আব্ব ভাণ্ডাবের ধনসামগ্ৰীতে কোন অধিকাব নাই ।” বাজা সমস্তই বুঝিলেন এবং মুনিকে জিজ্ঞাসা কবিলেন যে এখােন হইতে তাহার বাসস্থান কোথায় ? মুনিবার কহিলেন “বাবাণসী ক্ষেত্ৰ পৃথিবীর বহির্ভাগে অবস্থিত। আপনি সোস্থানে গিয়া থাকিতে পারেন।” তখন হবিশচন্দ্ৰ নিকটে এক কপর্দকও নাই দেখিয়া ভীত হইলেন এবং শৈব্যার সহিত পবামর্শ করিয়া শৈব্যা এবং রুহিদাসকে লইয়া দক্ষিণা পরিশোধ করিবার নিমিত্ত তাহাদিগকে হাটে বিক্রয় কবিতে গমন করিলেন। পরে এক ব্ৰাহ্মণের নিকটে শৈব্যাকে বিক্রয় কবিলেন। ব্ৰাহ্মণ শৈব্যাকে লইয়া চলিয়া যায় দেখিয়া রুহিদাস নিজ মতাব অঞ্চল "নিষা
